শিরোনাম
ঢাকা, ২২ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): গুগলের সঙ্গে ক্লাউড কম্পিউটিং খাতে ১০ বিলিয়ন ডলারেরও বেশি মূল্যের একটি চুক্তি করেছে মেটা। যা ছয় বছরের মধ্যে বাস্তবায়িত হবে বলে লেনদেনের ঘনিষ্ঠ একটি সূত্র বৃহস্পতিবার এএফপিকে জানিয়েছে। সূত্রটি টেক সংবাদমাধ্যম দ্য ইনফরমেশন-এ প্রকাশিত এক প্রতিবেদনের সত্যতা নিশ্চিত করেছে।
সান ফ্রান্সিসকো থেকে এএফপি।
এই চুক্তি অনুযায়ী মেটা গুগলের ডেটা সেন্টারের সার্ভার, স্টোরেজ, নেটওয়ার্কিং এবং অন্যান্য পরিষেবা ব্যবহার করবে। তবে এই বিষয়ে মেটা কোনো মন্তব্য করতে রাজি হয়নি।
মেটার প্রধান নির্বাহী মার্ক জাকারবার্গ কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তায় (এআই) ব্যাপক বিনিয়োগের পথে হাঁটছেন। তিনি ওপেনএআই ও অ্যাপলের মতো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রতিষ্ঠানগুলো থেকে শীর্ষস্থানীয় গবেষকদের মোটা অঙ্কের বেতনে নিজের দলে টানছেন। জুকারবার্গ এমন একটি দল গঠন করছেন, যা তার ভাষায় ‘এআই সুপারইনটেলিজেন্স’ অর্জনের পথে কাজ করবে।
গত মাসের শেষের দিকে একটি আর্থিক প্রতিবেদন বিষয়ক আলোচনায় জাকারবার্গ বলেন, ‘আমি বিশ্বের সবার জন্য ব্যক্তিগত সুপার ইন্টেলিজেন্স তৈরি করতে উদগ্রীব হয়ে আছি।’
এআই খাতে বিশাল বিনিয়োগের কারণে মেটা এখন অন্যান্য প্রযুক্তি প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে তীব্র প্রতিযোগিতায় নেমেছে।
সূত্র অনুযায়ী, এই চুক্তিটি গুগলের ক্লাউড ইউনিটের ১৭ বছরের ইতিহাসে অন্যতম বৃহত্তম চুক্তি।
গুগলের মূল সংস্থা অ্যালফাবেট জানায়, চলতি বছর তাদের ক্লাউড কম্পিউটিং ব্যবসা থেকে প্রায় ৫০ বিলিয়ন ডলার আয় হবে বলে আশা করা হচ্ছে।
মেটাও দ্বিতীয় প্রান্তিকে শক্তিশালী আর্থিক ফলাফল প্রকাশ করেছে এবং এআই অবকাঠামো খাতে বিনিয়োগের জন্য তাদের মূলধনি ব্যয় উল্লেখযোগ্যভাবে বাড়িয়ে ১৭ বিলিয়ন ডলারে দাঁড় করিয়েছে।
মেটার পূর্বাভাস অনুযায়ী, ২০২৫ সালে তাদের মোট মূলধনি ব্যয় ৬৬ বিলিয়ন থেকে ৭২ বিলিয়ন ডলারের মধ্যে থাকবে।
এদিকে, ই-মার্কেটার বিশ্লেষক মিন্ডা স্মাইলি জানিয়েছেন, মেটা যদিও ভালো প্রান্তিক ফলাফল দেখিয়েছে, তবুও কোম্পানির ভবিষ্যৎ নিয়ে প্রশ্ন থেমে যাবে না। কারণ তারা এখন এআই দৌড়ে টিকে থাকতে তীব্র চেষ্টায় আছে।
মেটার এআই কৌশল তুলে ধরে এক পোস্টে জাকারবার্গ বলেন যে চলতি দশকের বাকি সময়টা কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার বিকাশের জন্য একটি যুগান্তকারী সময় হবে। তিনি আরও উল্লেখ করেছেন যে কোম্পানির সর্বোচ্চ অগ্রাধিকার হলো তাদের ব্যবহারকারীদের কাছে এআই পৌঁছে দেওয়া।