বাসস
  ২০ আগস্ট ২০২৫, ১২:২০

দক্ষিণ কোরিয়ার নেতৃত্বকে ‘দ্বৈত চরিত্রের’ বলে নিন্দা উত্তর কোরিয়ার

ঢাকা, ২০ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : পিয়ংইয়ংয়ের সঙ্গে কূটনৈতিক প্রচেষ্টার পাশাপাশি আমেরিকার সঙ্গে সামরিক মহড়া চালানোর জন্য বুধবার দক্ষিণ কোরিয়ার নেতৃত্বকে ‘দ্বৈত চরিত্রের’ বলে নিন্দা করেছেন উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং উনের প্রভাবশালী বোন। 

সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

নবনির্বাচিত দক্ষিণ কোরিয়ার নেতা লি জে মিয়ং উত্তর কোরিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থাকে ‘সম্মান’ করার এবং ‘সামরিক আস্থা’ তৈরি করার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। একই সঙ্গে পূর্বশর্ত ছাড়াই সংলাপ চালিয়ে যাওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন। 

দক্ষিণ কোরিয়া এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র সোমবার থেকে উত্তর কোরিয়ার সম্ভাব্য হুমকি মোকাবেলার জন্য বার্ষিক যৌথ মহড়া শুরু করেছে।

লি এই মহড়াকে ‘প্রতিরক্ষামূলক’ হিসাবে বর্ণনা করেছেন এবং বলেছেন যে, এগুলো ‘উত্তেজনা বাড়ানোর উদ্দেশ্যে নয়’।

উত্তর কোরিয়া ১৯৫০ সালে প্রতিবেশী দেশকে আক্রমণ করেছিল। যার ফলে কোরিয়ান যুদ্ধ শুরু হয়েছিল।

উত্তর কোরিয়া দীর্ঘদিন ধরেই মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে এই ধরনের মহড়ায় ক্ষুব্ধ এবং এগুলোকে আক্রমণের জন্য মহড়া বলে অভিহিত করেছে ।

কিম ইয়ো জং সরকারি কোরিয়ান সেন্ট্রাল নিউজ এজেন্সি (কেসিএনএ) কর্তৃক সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে বলেছেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়ার ‘সর্বশেষ যৌথ সামরিক মহড়া, যা আবারও সমঝোতার আড়ালে পরিচালিত হয়েছে, এতে আমাদের পারমাণবিক ও ক্ষেপণাস্ত্র ক্ষমতা দ্রুত অপসারণের লক্ষ্যে একটি নতুন অপারেশনাল পরিকল্পনা পর্যালোচনা করা হয়েছে’।

তিনি বিবৃতিতে আরো বলেন, ‘এই মহড়াগুলো ‘আমাদের প্রজাতন্ত্রের ভূখণ্ডে আক্রমণ’ সম্প্রসারণের সিউলের অভিপ্রায়ও প্রকাশ করে।  

তিনি লি এবং তার প্রশাসনের কথা উল্লেখ করে বলেন, ‘দক্ষিণ কোরিয়া দ্বৈত চরিত্রকে বা বিভিন্ন সময়ে ভিন্ন ভিন্ন রূপ ধারণ করে।

কিম জং উন এই সপ্তাহের শুরুতে উত্তর কোরিয়ার পারমাণবিক অস্ত্র সক্ষমতার ‘দ্রুত সম্প্রসারণের’ আহ্বান জানিয়েছেন, চলমান মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক মহড়ার কথা উল্লেখ করে তিনি দাবি করেছেন যে ‘যুদ্ধ শুরু হতে পারে’।

২০১৯ সালে হ্যানয়ে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের সাথে কিমের শীর্ষ সম্মেলন ব্যর্থ হওয়ার পর থেকে, উত্তর কোরিয়া বারবার বলে আসছে যে, তারা কখনই পারমাণবিক অস্ত্র ত্যাগ করবে না এবং স্পষ্ট করে দিয়েছে যে তারা এখন ওয়াশিংটনের নিরাপত্তা মিত্র দক্ষিণ কোরিয়াকে তার ‘প্রধান শত্রু’ হিসেবে বিবেচনা করে।

তিনি বলেন, দক্ষিণ কোরিয়া ‘উত্তর কোরিয়ার কূটনৈতিক অংশীদার হতে পারে না’ এবং লি ‘ইতিহাসের গতিপথ পরিবর্তনকারী ব্যক্তি নন’।

জুন মাসে দক্ষিণ কোরিয়ার সামরিক বাহিনী বলেছিল যে উভয় দেশই অসামরিকীকরণকৃত অঞ্চলে প্রচারণা সম্প্রচার বন্ধ করে দিয়েছে এবং পরে বলেছে যে সিউল তাদের নিজস্ব লাউডস্পিকার সরিয়ে নেওয়ার পর উত্তর কোরিয়ানরা লাউডস্পিকার নামিয়ে ফেলছে।

কিন্তু কিম ইয়ো জং তখন থেকে উত্তর কোরিয়ার লাউডস্পিকার অপসারণের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন।