শিরোনাম
ঢাকা, ১৮ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, তারা ইয়েমেনের রাজধানী সানায় ইরান-সমর্থিত হুতিদের ব্যবহৃত একটি জ্বালানি অবকাঠামো স্থাপনায় হামলা চালিয়েছে। গাজা যুদ্ধের সময় ইসরাইলের ওপর বারবার হামলা চালিয়েছে ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা।
জেরুজালেম থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ইসরাইলি সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,‘ইয়েমেনের ভেতরে রাজধানী সানা এলাকায় হুথিদের ব্যবহৃত একটি জ্বালানি অবকাঠামো স্থাপনা লক্ষ্য করে তারা হামলা চালিয়েছে। তবে স্থানটির নাম উল্লেখ করেনি ইসরাইলি সেনাবাহিনী।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা সূত্রের বরাত দিয়ে হুথিদের আল-মাসিরাহ টিভি জানিয়েছে, সানার দক্ষিণে ‘হাজিজ বিদ্যুৎ কেন্দ্র লক্ষ্য করে আগ্রাসন চালানো হয়েছে’। তবে ওই হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে হতাহতের কোনও খবর পাওয়া যায়নি।
এফপিতে কর্মরত একজন আলোকচিত্রী ঘটনাস্থলে উল্লেখযোগ্য ক্ষতির কথা জানিয়েছেন।
বিদ্যুৎ কেন্দ্রের একজন কর্মচারী এএফপিকে বলেন, ‘ইসরাইলি বাহিনী দুটি আক্রমণাত্মক হামলা’ ভোরে ঘটনাস্থলে আঘাত করেছে। তিনি বলেন, তবে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেনি।
ইয়েমেনের ইরান-সমর্থিত হুথি বিদ্রোহীরা ২০২৩ সালের অক্টোবরে ইসরাইলে তাদের ফিলিস্তিনি মিত্র হামাসের হামলার পর থেকে গাজা যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বারবার ক্ষেপণাস্ত্র এবং ড্রোন হামলা চালিয়ে আসছে।
বেশিরভাগ হুথি হামলা প্রতিহত করা হয়েছে, কিন্তু ইয়েমেনে বিদ্রোহীদের লক্ষ্যবস্তুতে ইসরাইল বিমান হামলা চালিয়ে আসছে।
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী জানিয়েছে, হুথিদের বারবার হামলার জবাবে তাদের সর্বশেষ ‘হামলা চালানো হয়েছে’।
রোববার বিকেলে, ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানিয়েছে, তারা ইয়েমেন থেকে ছোড়া আরেকটি ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিহত করেছে। পরে বেশ কয়েকটি অঞ্চলে সাইরেন বেজে ওঠে।
হুথি মুখপাত্র ইয়াহিয়া সারি গোষ্ঠীর পক্ষে হামলার দাবি করে বলেন যে, তারা তেল আবিবের বেন গুরিওন বিমানবন্দরকে ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র দিয়ে লক্ষ্যবস্তু করেছে।
প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরায়েল কাটজ এক্স-এ এক পোস্টে বলেছেন, ইসরাইলের ওপর গুলি চালানোর প্রতিটি প্রচেষ্টার জন্য হুথিদের চড়া মূল্য দিতে হবে’ এবং ইসরাইল এই গোষ্ঠীর ওপর ‘বিমান ও সমুদ্র অবরোধ আরোপ করছে।
ইসরাইলের ওপর হামলার পাশাপাশি, হুথিরা ইয়েমেনের লোহিত সাগর এবং এডেন উপসাগরে ইসরাইলি-সংযুক্ত জাহাজগুলোকেও লক্ষ্যবস্তু করেছে।
জানুয়ারি ২০২৪ এ লোহিত সাগরে জাহাজ চলাচলে নিরাপত্তা জোরদার করার জন্য যুক্তরাষ্ট্র ও ব্রিটেন সামরিক পদক্ষেপ নেয়ার পর, ইরান-সমর্থিত গোষ্ঠীগুলো তাদের সাথে সংশ্লিষ্ট জাহাজগুলোতে হামলা আরো বাড়িয়েছে।
মে মাসে, বিদ্রোহীরা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের সাথে একটি যুদ্ধবিরতি চুক্তি করে যা কয়েক সপ্তাহ ধরে তীব্র মার্কিন হামলার অবসান ঘটায়, তবে ইসরাইলি জাহাজগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করা অব্যাহত থাকার হুঁশিয়ারি দেয়।