শিরোনাম
ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : সার্বিয়ার বেশ কয়েকটি শহরে সরকার বিরোধী বিক্ষোভ ছড়িয়ে পড়েছে। টানা পঞ্চম রাতে সার্বিয়ার রাজধানী বেলগ্রেড এবং অন্যান্য শহরে শনিবার গভীর রাতে বিক্ষোভকারী এবং দাঙ্গা পুলিশের মধ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়েছে বলে জানা গেছে।
বেলগ্রেড থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
কেন্দ্রীয় শহর ভালজেভোতে হাজার হাজার মানুষ ডানপন্থী প্রেসিডেন্ট আলেকজান্ডার ভুসিকের দলের বিরুদ্ধে তাদের ক্রমবর্ধমান ক্ষোভ প্রকাশ করতে জড়ো হয়েছিল, সেখানে মুখোশধারী যুবকদের একটি ছোট দল ক্ষমতাসীন সার্বিয়ান প্রগ্রেসিভ পার্টির ফাঁকা কার্যালয়গুলোতে হামলা চালায় এবং আগুন ধরিয়ে দেয়।
পরবর্তীতে দাঙ্গা পুলিশের সাথে তাদের সংঘর্ষ হয়। বিক্ষোভকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে হাত বোমা এবং পাথর নিক্ষেপ করে এবং পুলিশ অফিসাররা স্টান গ্রেনেড এবং কাঁদানে গ্যাসের শেল ছুড়ে জবাব দেয়।
বেলগ্রেডে পুলিশ ক্ষমতাসীন দলের সদর দফতরের দিকে অগ্রসর হওয়া বিক্ষোভকারীদের থামানোর পর সংঘর্ষ শুরু হয়।
দেশটির দ্বিতীয় বৃহত্তম উত্তরাঞ্চলীয় শহর নোভি সাদেও কিছু সংঘর্ষের খবর পাওয়া গেছে।
গত নভেম্বরে রেলওয়ে স্টেশনের ছাদ ধসে ১৬ জন নিহত হওয়ার পর থেকে সার্বিয়ায় প্রায় প্রতিদিনই বিক্ষোভ চলছে।
বলকান দেশটিতে এই দুর্ঘটনাটি গভীর দুর্নীতির প্রতীক হয়ে উঠেছে। স্বচ্ছ তদন্ত এবং আগাম নির্বাচনের দাবিতে বিক্ষোভে লাখ লাখ মানুষ রাস্তায় নেমে আসে।
কিন্তু এই সপ্তাহের শুরুতে বেশিরভাগ শান্তিপূর্ণ বিক্ষোভের অবনতি ঘটে। কারণ, সরকার সমর্থকদের একটি বিশাল দল তাদের অনেকেই মুখোশধারী এবং কেউ কেউ লাঠি ও হাতবোমা নিয়ে সজ্জিত বিক্ষোভকারীদের ওপর আক্রমণ করে।
এর ফলে বেশ কয়েক রাত ধরে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হয়েছে, উভয় পক্ষের অনেকেই আহত হয়েছেন বলে জানা গেছে।
অনলাইনে শেয়ার করা বেশ কয়েকটি ভিডিওতে পুলিশ নিরস্ত্র বিক্ষোভকারীদের লাঠি দিয়ে আঘাত করার পরে বিক্ষোভ আরো তীব্র হয়ে ওঠার ভিডিও দেখা গেছে।
গত বৃহস্পতিবার রাতের একটি ভিডিওতে দেখা গেছে প্রায় ২০ জন কর্মকর্তা ভালজেভোতে মাটিতে পড়ে থাকা এক যুবককে ঘিরে ধরেছে এবং তাকে মারধর করছে।
পুলিশ এই বর্বরতার অভিযোগ অস্বীকার করেছে। পুলিশ বিক্ষোভকারীদের বিরুদ্ধে কর্মকর্তাদের ওপর আক্রমণের অভিযোগ করেছে।
যদিও বিক্ষোভকারীরা এখন আন্দোলনকে প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ এবং সরকারের পতনের দিকে পরিচালিত করেছে, তবে, ভুসিক এখনও অটল রয়েছেন।
তিনি বারবার আগাম নির্বাচনের আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন এবং বিক্ষোভগুলোকে তাকে উৎখাতের বিদেশি ষড়যন্ত্রের অংশ হিসেবে নিন্দা করেছেন।