বাসস
  ১৭ আগস্ট ২০২৫, ১৫:৪০

চিকিৎসার জন্য গৃহবন্দি থেকে মুক্তি পেয়ে হাসপাতালে গেলেন বলসোনারো

ঢাকা, ১৭ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য গৃহবন্দি থেকে মুক্তি পেয়ে বাড়ির বাইরে গেলেন ব্রাজিলের সাবেক প্রেসিডেন্ট জাইর বলসোনারো। তিনি অভ্যুত্থানের ষড়যন্ত্রের জন্য দোষী কিনা সে বিষয়ে সুপ্রিম কোর্ট রায় দেয়ার কয়েক সপ্তাহ আগে তিনি গৃহবন্দি থেকে এ মুক্তি পেলেন। 

ব্রাসিলিয়া থেকে এএফপি এ খবর জানায়।

২০২২ সালের নির্বাচনে বর্তমান বামপন্থী নেতা লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার কাছে পরাজিত হওয়ার পরও ক্ষমতায় থাকার চেষ্টা করার অভিযোগের মুখোমুখি হন ৭০ বছর বয়সী এই ডানপন্থী নেতা। বলসোনারো আগস্টের শুরু থেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে নিজের পক্ষ প্রচার করার জন্য আদালতের নিষেধাজ্ঞা অমান্য করার কারণে গৃহবন্দি ছিলেন। তবে বিচারক সাময়িকভাবে এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেন, যাতে তিনি চিকিৎসা নিতে পারেন। তার আইনজীবীরা জানান, এটি ২০১৮ সালের ছুরিকাঘাতের আঘাতের পর থেকে সৃষ্ট গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল সমস্যাগুলোর জন্য তিনি চিকিৎসা নিতে পারেন।

বিশেষভাবে উল্লেখ করা হয় তার দীর্ঘস্থায়ী রিফ্লাক্স ও হেঁচকির উপসর্গ এবং অন্ত্রের এন্ডোস্কোপিসহ বিভিন্ন পরীক্ষার জন্য হাসপাতালে যাওয়া প্রয়োজন।

হাসপাতালের বাইরে সাংবাদিকদের ডাক্তার লিয়ান্দ্রো ইচেনিক জানান, পরীক্ষায় দেখা গেছে সম্প্রতি বলসোনারোর দুইবার নিউমোনিয়া হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, বলসোনারোর ভালোভাবেই সুস্থ হয়ে উঠছেন।

তার সাবেক সার্জন ক্লদিও বিওরলিনি (২০১৯-২০২২) বলেন, সবকিছু ঠিক আছে, তবে সাবেক প্রেসিডেন্ট এখনও খাদ্যনালির প্রদাহ ও কিছু রিফ্লাক্সে ভুগছেন। 

তিনি আরও বলেন, বর্তমানে তিনি ঘরে থাকায় শারীরিক কার্যকলাপ সীমিত, তাই আমরা পরামর্শ দিচ্ছি ওজন তোলার ব্যায়াম বাড়ানোর। কারণ তিনি হাঁটতে পারছেন না, অন্য কিছু করতে পারছেন না।

সমর্থকদের উপস্থিতি :

শনিবার সকালবেলা তিনি রাজধানী ব্রাসিলিয়ার একটি চিকিৎসা কেন্দ্রে পৌঁছান। বাইরে অপেক্ষা করা প্রায় ২০ জন সমর্থক তাকে স্বাগত জানান, যাদের হাতে ছিল ব্রাজিল, ইসরায়েল ও মার্কিন পতাকা।

একজন সমর্থক মার্সিয়া মারিয়া এএফপিকে বলেন, আমরা বিশ্বাস করি জাইর বলসোনারো ২০২৬ সালে ব্রাজিলের প্রেসিডেন্ট হবেন। জনগণও তা চায়। এসময় সাবেক এই প্রেসিডেন্ট সাংবাদিকদের সঙ্গে কোনো কথা বলেননি এবং পরে বাসায় ফিরে যান।

ব্রাজিলের সুপ্রিম কোর্ট ২ সেপ্টেম্বর বলসোনারোর বিরুদ্ধে অভ্যুত্থানের অভিযোগের শুনানি শুরু করবে। দোষী প্রমাণিত হলে তার ৪০ বছর পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে।