বাসস
  ১১ আগস্ট ২০২৫, ১১:৫২

জাপানে ভারী বৃষ্টিপাতের পর কয়েকজন নিখোঁজ হওয়ায় লোকজনকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান

ঢাকা, ১১ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বন্যা ও ভূমিধসের পর সোমবার জাপান কর্তৃপক্ষ লাখ লাখ মানুষকে তাদের বাড়িঘর থেকে নিরাপদ স্থানে আশ্রয় নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। 

দেশটিতে ভারী বৃষ্টিপাতের ফলে বেশ কয়েকজন বাসিন্দা এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।

টোকিও থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

কুমামোটো প্রিফেকচারের বিভিন্ন সম্প্রদায়ের টেলিভিশন ফুটেজে দেখা গেছে, বাড়িঘর, দোকানপাট এবং যানবাহন প্রায় এক মিটার (৩.৩ ফুট) পানিতে ডুবে আছে।

নদীর স্রোত যানবাহন ভাসিয়ে নিয়ে গেছে এবং রাস্তাঘাট ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

জাপান আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, সোমবার ভোর থেকে ছয় ঘন্টার মধ্যে, কুমামোটো প্রিফেকচারের সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত তামানা শহরে ৩৭ সেন্টিমিটার (১৪.৫ ইঞ্চি) এরও বেশি বৃষ্টিপাত হয়েছে। যা এই অঞ্চলের জন্য একটি রেকর্ড।

আবহাওয়া সংস্থা জানিয়েছে, ‘পরিস্থিতি প্রাণঘাতী এবং অবিলম্বে নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হবে’।

‘যেসব জায়গায় সাধারণত দুর্যোগ ঘটে বলে মনে করা হয় না, সেখানেও সর্বোচ্চ সতর্কতা অবলম্বন করা প্রয়োজন।’

অগ্নিনির্বাপণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, দক্ষিণ-পশ্চিম অঞ্চলে ৩০ লাখেরও বেশি বাসিন্দাকে নিরাপদে সরে যাওয়ার পরামর্শ দেয়া হয়েছে এবং সতর্কতা জারি করা হয়েছে।

অগ্নিনির্বাপণ ও দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা বলেছে, প্রায় ৩ লাখ ৮৪ হাজার বাসিন্দা, যাদের বেশিরভাগই কুমামোটোতে, জাপানের সবচেয়ে গুরুতর স্থানান্তর সতর্কতার মুখোমুখি হয়েছেন বলে জানা গেছে।

শহরের একজন কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, সোমবার ভোরে কুমামোটোর কোসা শহরে এক পিতা তার গাড়ির বাইরে দাঁড়িয়ে থাকার সময় তার বাড়ির কাছে ভূমিধসের পর নিখোঁজ হন।

তিনি বলেন, তার স্ত্রী এবং তাদের দুই সন্তান গাড়ির ভেতরে নিরাপদে আছেন।

শহরের কর্তব্যরত কর্মকর্তা এএফপিকে জানিয়েছেন, কুমামোতোর মিসাতো শহরে, ভূমিধসের পর বাড়ির ভেতরে আটকে পড়া এক বৃদ্ধের কাছে উদ্ধারকর্মীরা পৌঁছানোর চেষ্টা করছিলেন।

মিসাতো শহরের কর্মকর্তা কাজুহিরো মাসুনাগা এএফপিকে জানিয়েছেন, ‘বৃষ্টি এতটাই প্রবল ছিল যে চার থেকে পাঁচ ঘন্টা ধরে আমার সামনে কী আছে তা আমি দেখতে পাইনি’।

জাতীয় সম্প্রচারক এনএইচকে জানিয়েছে, রোববার ফুকুওকা শহরে দুইজন নদীতে ভেসে গেছেন এবং এখনও নিখোঁজ রয়েছেন।