শিরোনাম
ঢাকা, ৮ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস): গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র কঙ্গোর প্রেসিডেন্ট ফেলিক্স শিসেকেদি শুক্রবার এক ডিক্রি জারির মাধ্যমে দেশটির মন্ত্রিসভায় রদবদল করেছেন।
তিনি কমপক্ষে দুই জন বিরোধী দলীয় নেতাকে মন্ত্রিসভায় নিয়োগ করেছেন।
দেশটির রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক ঘোষণার বরাত দিয়ে কিনশাসা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ রদবদলের কথা জানিয়েছে।
নতুন মন্ত্রিসভা এখনও প্রধানমন্ত্রী জুডিথ সুমিনওয়া তুলুকার নেতৃত্বে রয়েছে। মন্ত্রিসভায় ৫৩ জন সদস্য রয়েছেন। যা পূর্ববর্তী সরকারের চেয়ে একজন কম।
ডিক্রি অনুসারে, বিরোধীদলীয় নেতা এবং সাবেক প্রধানমন্ত্রী অ্যাডলফে মুজিটোকে উপ-প্রধানমন্ত্রী ও বাজেট মন্ত্রী নিযুক্ত করা হয়েছে।
দেশটির একটি ছোট বিরোধী দলের নেতা ফ্লোরিবার্ট আনজুলুনিকে আঞ্চলিক একীকরণ মন্ত্রী হিসাবে নিয়োগ করা হয়েছে।
বছরের শুরুতে রাজনৈতিক পরামর্শের পর নতুন মন্ত্রিসভা গঠন করা হয়। যা দেশটির পূর্বাঞ্চলে একটি নিরাপত্তা সংকট কর্তৃক চিহ্নিত করা হয়েছিল।
স্বর্ণ ও কোল্টানের মতো গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পদার্থে সমৃদ্ধ পূর্ব কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র (ডিআরসি) ৩০ বছরেরও বেশি সময় ধরে প্রতিদ্বন্দ্বী সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে লড়াই এবং বিদেশী শক্তির হস্তক্ষেপের কারণে বিধ্বস্ত।
রুয়ান্ডার সীমান্তবর্তী এই অঞ্চলে এই বছর নতুন করে সহিংসতা দেখা দিয়েছে। রুয়ান্ডার সেনাদের সমর্থিত এম২৩ সশস্ত্র গোষ্ঠী গোমা এবং বুকাভুর গুরুত্বপূর্ণ শহরগুলো দখল করে নেওয়ার পর এই সহিংসতা শুরু হয়।
কয়েক মাস ধরে যুদ্ধবিরতি ভেঙে যাওয়ার পর, ডিআরসি এবং এম২৩ গত ১৯ জুন স্থায়ী যুদ্ধবিরতির প্রতি তাদের প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করে নীতিগত ঘোষণায় স্বাক্ষর করেছে।
কিন্তু জাতিসংঘের মানবাধিকার প্রধান ভলকার টার্ক এই সপ্তাহে বলেছেন, জুলাই মাসে এম২৩ ও অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীর বেসামরিক লোকদের ওপর নতুন করে হামলায় কমপক্ষে ৩১৯ জন বেসামরিক লোক নিহত হয়েছে।
কিনশাসা ও জাতিসংঘের মতে, এই অঞ্চলে সহিংসতা হাজার হাজার লোককে হত্যা করেছে এবং লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষের জন্য মানবিক সংকটকে আরো বাড়িয়ে তুলেছে।
২০১৯ সাল থেকে ক্ষমতায় থাকা প্রেসিডেন্ট শিসেকেদি ২০২৩ সালের ডিসেম্বরে ৭৩ শতাংশেরও বেশি ভোট পেয়ে পুনঃনির্বাচিত হন এবং একই দিনে অনুষ্ঠিত আইনসভা নির্বাচনে তার জোটের দলগুলো প্রায় ৯০ শতাংশ আসন জিতেছিল।
মন্ত্রিসভায় নবনিযুক্ত মুজিতো ও আনজুলুনি ২০২৩ সালের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিরোধী প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছিলেন এবং তারা যথাক্রমে প্রায় এক শতাংশ ও দশমাংশেরও কম ভোট পেয়েছিলেন।