বাসস
  ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১৩:২১

ইসরাইলি হামলায় গাজায় নিহত ৬৮, শতাধিক আহত

ঢাকা, ৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : ইসরাইলি বাহিনীর বন্দুকযুদ্ধ এবং বিমান হামলায় গাজায় মঙ্গলবার কমপক্ষে ৬৮ জন নিহত এবং শতাধিক আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। নিহতদের মধ্যে ৫৬ জন যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি অঞ্চলে খাদ্য সহায়তা সংগ্রহের জন্য অপেক্ষা করছিলেন। গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে।

গাজা সিটি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে জানিয়েছেন, ইসরাইলি বাহিনী দক্ষিণ গাজা শহরের খান ইউনিসে হামলা চালিয়েছে। ওই হামলায় ৩০ জন নিহত হয়েছেন। 

ইসরাইলি সেনাবাহিনী এএফপিকে জানিয়েছে যে, গাজার দক্ষিণে তথাকথিত মোরাগ করিডোরে ‘গাজার একদল লোক তাদের দিকে এগিয়ে আসার সময়  ‘সতর্কীকরণমূলক গুলি’ চালিয়েছে সেনারা। ইসরাইলি সেনাবাহিনী আরো জানেিয়ছে, ‘সতর্কীকরণমূলক গুলির ফলে কোনও হতাহতের ঘটনা ঘটেছে কিনা তা তাদের জানা নেই’।

বাসাল বলেন, উত্তর গাজার জিকিম সীমান্ত ক্রসিংয়ের কাছে ইসরাইলি গুলিবর্ষণে আরো ২০ জন নিহত এবং ১০০ জন আহত হয়েছেন। সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে এই সীমান্ত দিয়ে কিছু ত্রাণ ট্রাক এই অঞ্চলে প্রবেশ করেছে।

এএফপির এক সাংবাদিক উত্তর গাজার হামাদ হাসপাতালে কমপক্ষে এক ডজন মৃতদেহ আনা হয়েছে বলে জানতে পেয়েছেন। একটি মেডিকেল সূত্র জানিয়েছে, জিকিমের কাছে এই ঘটনায় নিহতদের মৃত্যু হয়েছে বলে জানা গেছে।

সেনাবাহিনী এএফপিকে জানিয়েছে, তারা ঘটনার বিস্তারিত খতিয়ে দেখছে।

বাসাল বলেন, মধ্য গাজায় একটি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্রের কাছে খাবারের জন্য অপেক্ষা করার সময় ইসরাইলি গুলিতে আরো ছয়জন নিহত এবং ২১ জন আহত হয়েছেন।

তবে ইসরাইলি সেনাবাহিনী মঙ্গলবার মধ্য গাজার কোনও সাহায্য কেন্দ্রের কাছে গুলি চালানোর কথা অস্বীকার করেছে।

গাজায় গণমাধ্যমের ওপর বিধিনিষেধ এবং অনেক এলাকায় প্রবেশাধিকারে অসুবিধার কারণে এএফপি স্বাধীনভাবে নিহতরে সংখ্যা এবং বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা এবং অন্যান্য পক্ষের দেওয়া বিবরণ যাচাই করতে পারেনি।

প্রতিদিন হাজার হাজার গাজাবাসী খাদ্য বিতরণ কেন্দ্রের কাছে জড়ো হয়, যার মধ্যে চারটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং ইসরাইলি-সমর্থিত গাজা হিউম্যানিটেরিয়ান ফাউন্ডেশনের অন্তর্ভুক্ত।

মে মাসের শেষের দিকে ত্রাণ বিতরন শুরু হওয়ার পর থেকে, এর কার্যক্রম প্রায় প্রতিদিনই ত্রাণ সংগ্রহের জন্য অপেক্ষারতদের ওপর ইসরাইলি বাহিনীর গুলিবর্ষণের খবর পাওয়া যাচ্ছে।

প্রায় ২২ মাস আগে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে গাজায় সরবরাহ প্রবেশের ওপর ইসরাইলি নিষেধাজ্ঞার ফলে খাদ্য ও প্রয়োজনীয় জিনিসপত্রের ঘাটতি দেখা দিয়েছে। যার মধ্যে রয়েছে ওষুধ ও জ্বালানি, যার ওপর হাসপাতালগুলো তাদের কার্যক্রম পরিচালনার জেনারেটর চালাতে জ্বালানি অপরিহার্য।