বাসস
  ০৬ আগস্ট ২০২৫, ১০:২১

দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক ফার্স্ট লেডিকে দুর্নীতির অভিযোগে জিজ্ঞাসাবাদ

ঢাকা, ৬ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ কোরিয়ার প্রসিকিউটররা বুধবার দুর্নীতির অভিযোগে অভিযুক্ত দেশটির সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের পত্নী এবং প্রাক্তন ফার্স্টলেডি কিম কিওন হিকে শেয়ার কারসাজি এবং ঘুষ গ্রহনসহ একাধিক অভিযোগের বিষয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করেছেন। দেশটির প্রসিকিউটর কার্যালয় এ তথ্য জানিয়েছেন। 

সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

তার স্বামী দক্ষিণ কোরিয়ার প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল ডিসেম্বরে সামরিক আইন ঘোষণার কারণে আটক রয়েছেন। এর ফলে সংসদ কর্তৃক বাতিল হওয়ার আগে পর্যন্ত সাময়িকভাবে বেসামরিক শাসন স্থগিত হয়েছিল।

বুধবার জিজ্ঞাসাবাদের পর, প্রসিকিউটররা কিমের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করবেন বলে আশা করা হচ্ছে। 

যদি পরোয়ানাটি মঞ্জুর করা হয়, তাহলে পরোয়ানাটি দক্ষিণ কোরিয়ার ইতিহাসে প্রথমবারের মতো একজন প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট  এবং ফার্স্ট লেডি উভয়কেই গ্রেপ্তার করা হবে।

গত ২০০৯ থেকে ২০১২ সালের মধ্যে কিমের বিরুদ্ধে একটি কোম্পানির শেয়ারের দাম বাড়ানোর জন্য ব্যবসায়ীদের সাথে যোগসাজশের অভিযোগ রয়েছে। দুর্নীতিবিরোধী আইন লঙ্ঘন করে তিনি ২ হাজার ২শ’ ডলারের মূল্যের হ্যান্ডব্যাগসহ বিলাসবহুল উপহার গ্রহণ করেছেন বলেও তার বিরুদ্বে অভিযোগ রয়েছে।

সিউলের বিশেষ প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে প্রবেশের আগে কিম বলেন, ‘গুরুত্বহীন ব্যক্তি হওয়া সত্ত্বেও আমি ঝামেলা সৃষ্টি করার জন্য আন্তরিকভাবে ক্ষমাপ্রার্থী। আমি তদন্তে সম্পূর্ণ সহযোগিতা করব’।

কিমের জিজ্ঞাসাবাদের বিষয়টি  স্থানীয় গণমাধ্যমে উল্লেখযোগ্য মনোযোগ আকর্ষণ করেছে। তিনি যখন প্রসিকিউটরের কার্যালয়ে যাচ্ছিলেন তখন বুধবার স্থানীয় সাংবাদিকরা তার গাড়িটি অনুসরণ করে গাড়ির পিছনে পিছনে যাচ্ছিলেন।

কিম এবং ইউনের সমর্থকরা প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের বাইরে জড়ো হয়েছিলেন। তারা জাতীয় পতাকা উড়িয়ে এবং ‘তদন্তকারীদের অবশ্যই ন্যায্য হতে হবে’ লেখা প্ল্যাকার্ড ধরে দাঁড়িয়েছিলেন।

৫২ বছর বয়সী কিম কিওন শেয়ার কারসাজিতে তার কথিত ভূমিকা নিয়ে দীর্ঘস্থায়ী প্রশ্ন নিয়ে বিতর্ক দীর্ঘদিন ধরেই চলছে। ২০২২ সালে ধারণ করা একটি ভিডিওতে তাকে একজন স্বঘোষিত ভক্তের কাছ থেকে একটি ডিওর হ্যান্ডব্যাগ গ্রহণ করতে দেখা গেছে যা জনসাধারণের মধ্যে সমালোচনার জন্ম দিয়েছে।

তার বিরুদ্ধে নির্বাচনী আইন লঙ্ঘন করে ইউনের দলের এমপিদের মনোনয়ন প্রক্রিয়ায় হস্তক্ষেপ করার অভিযোগও রয়েছে। 

রাষ্ট্রপতি হিসেবে ইউন কিমের বিরুদ্ধে অভিযোগ তদন্তের জন্য বিরোধী-নিয়ন্ত্রিত সংসদ কর্তৃক পাস করা তিনটি বিশেষ তদন্ত বিল ভেটো দেন, যার মধ্যে শেষ ভেটো নভেম্বরের শেষের দিকে জারি করা হয়েছিল। এক সপ্তাহ পরে, ইউন সামরিক আইন ঘোষণা করেন।