শিরোনাম
ঢাকা, ২ আগস্ট, ২০২৫ (বাসস) : বুরকিনা ফাসোর উত্তর-পূর্বাঞ্চলে সপ্তাহের শুরুতে দুটি জিহাদি হামলায় ‘কয়েক ডজন’ সৈন্য ও বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছে, একটি স্থানীয় সূত্র ও দু’টি নিরাপত্তা সূত্র শুক্রবার এএফপিকে এ তথ্য জানায়।
একটি আঞ্চলিক নিরাপত্তা সূত্রের উদ্ধৃতি দিয়ে আবিদজান থেকে এএফপি জানায়, সোমবার, দারগো গ্রামের একটি সামরিক ইউনিটকে লক্ষ্যবস্তু করে একটি সশস্ত্র সন্ত্রাসী গোষ্ঠী একটি ‘বড়’ ধরনের হামলা চালালে উভয় পক্ষের কয়েক ডজন লোক নিহত হয়।
অপর এক নিরাপত্তা সূত্র এএফপিকে জানায়, জিহাদিরা সোমবার ডোরি ও গোরম-গোরম শহরের মধ্যে দিয়ে যাওয়া একটি সরবরাহ বহরের ওপর দ্বিতীয় হামলা চালায়।
সূত্রটি জানায়, ‘ওই হামলায়, বেশ ক’জন বেসামরিক নাগরিক ও সৈন্য নিহত হয়েছে। বিশেষ করে সরবরাহ পরিবহনকারী ট্রাক চালকরা এতে নিহত হয়।
একটি সড়ক পরিবহন কোম্পানির একজন ব্যবস্থাপক সরবরাহ বহরে হামলার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, ‘প্রায় ২০ জন চালক ও তাদের শিক্ষানবিশ এতে নিহত হয়েছে।’
আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট সশস্ত্র জঙ্গি গোষ্ঠী জেএনআইএম মঙ্গলবার সামরিক ঘাঁটিতে হামলার দায় স্বীকার করেছে। গোষ্ঠীটি মালি ও নাইজারেও সক্রিয়। গোষ্ঠীটি ইঙ্গিত দিয়েছে যে তারা ৪০ জন বুরকিনাবে সৈন্য (সশস্ত্র বাহিনীর পরিষেবা শাখার অন্তর্ভুক্ত সেনা সদস্য) হত্যা করেছে।
জাতিসংঘ বলেছে, জেএনআইএম গোষ্ঠীটি সাহেল অঞ্চলে সবচেয়ে প্রভাবশালী হুমকি হয়ে উঠেছে।
২০১৫ সাল থেকে বুরকিনা ফাসো জেএনআইএম ও ইসলামিক স্টেট গোষ্ঠীর আক্রমণে জর্জরিত হয়ে উঠেছে।
সাহেল নিরাপত্তা বিষয়ক বিশেষজ্ঞ পশ্চিম আফ্রিকার সাংবাদিকদের একটি দল ওয়াম্যাপস বলেছে, ডার্গো ঘাঁটিতে হামলা ছিল সাম্প্রতিক বুরকিনার সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে সবচেয়ে মারাত্মক হামলাগুলোর একটি।
স্থানীয় সূত্রের বরাত দিয়ে ওয়াম্যাপস গ্রুপটি জানিয়েছে, প্রায় ৫০ জন সৈন্য ওই হামলায় নিহত হয়েছে।
সাহেলের ইসলামিক স্টেট গ্রুপের ‘প্রায় ২০০ সন্ত্রাসী’ গাড়ি বহর হামলায় অংশ নিয়েছিল বলে ধারণা করা হচ্ছে। গ্রুপটি জানিয়েছে, ওই হামলায় ‘প্রায় ১৫ জন এসকর্ট সৈন্য নিহত হয়েছে এবং কমপক্ষে ১০ জন চালককে হত্যা করা হয়েছে।’