শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিল (আইএমএফ) বৃহস্পতিবার আর্জেন্টিনার সরকারের সঙ্গে ২০ বিলিয়ন ডলারের ঋণ কর্মসূচির প্রথম পর্যালোচনার অংশ হিসেবে একটি চুক্তিতে পৌঁছেছে।
যার ফলে ২ বিলিয়ন ডলারের দ্বিতীয় কিস্তি ছাড়ের পথ তৈরি হলো। কিস্তি এখনো আইএমএফ নির্বাহী বোর্ডের অনুমোদনের অপেক্ষায়, যা চলতি মাসের শেষ নাগাদ বৈঠকে উত্থাপন করা হবে।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, এক বিবৃতিতে আইএমএফ বলেছে, এই কিস্তি ছাড়ের পর এপ্রিল মাসে ঘোষিত কর্মসূচির আওতায় আর্জেন্টিনার জন্য মোট পাওনাযোগ্য অর্থের পরিমাণ দাঁড়াবে প্রায় ১৪ বিলিয়ন ডলার। একটি শক্তিশালী রাজস্ব নীতি এবং কঠোর মুদ্রানীতির মাধ্যমে কর্মসূচির শক্তিশালী করা শুরু হয়েছে।
তারা উল্লেখ করেন, প্রত্যাশিত বিনিময় হার পরিচালনা এবং মুদ্রাস্ফীতির শিথিলতা লক্ষ্য করা গেছে যে, জুন শেষে বার্ষিক মুদ্রাস্ফীতি নেমে এসেছে ৩৯.৪ শতাংশে, যা ২০২৪ সালের শেষে ছিল ১১৭.৮ শতাংশ।
আইএমএফ আরও জানায়, দেশটিতে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বজায় রয়েছে এবং দারিদ্র্েযর হার কমেছে। যেটি একসময় ৫০ শতাংশ ছাড়িয়ে গিয়েছিল। কিন্তু ২০২৪ সালের শেষে নেমে এসেছে ৩৮.১ শতাংশে, যা ছিল বাজেট-ছাঁটাইপন্থী লিবার্টেরিয়ান হাভিয়ের মিলে প্রেসিডেন্ট হওয়ার আগের অবস্থার সমান।
ওয়াশিংটনভিত্তিক এই সংস্থা জানায়, চলতি মাসের শুরুতে মুডিজ কর্তৃক আর্জেন্টিনার রেটিং ‘সিএএ৩ ’ থেকে উন্নীত করে ‘সিএএ ১’ করায় দেশটি আন্তর্জাতিক আর্থিক বাজারে ফিরে এসেছে, যদিও এখনো এটি ঝুঁকিপূর্ণ বিনিয়োগের তালিকায় রয়েছে।
আইএমএফ-এর এই ঋণ ছিল ৪২ বিলিয়ন ডলারের একটি বৃহৎ ত্রাণ প্যাকেজের অংশ, যেখানে বিশ্বব্যাংক এবং আন্ত-আমেরিকান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংকের অর্থও অন্তর্ভুক্ত ছিল।
২০২৩ সালের ডিসেম্বরে নির্বাচিত হওয়া হাভিয়ের মিলে দক্ষিণ আমেরিকার এই সংকটাপন্ন অর্থনীতিকে পুনরুদ্ধারের প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন। তার কঠোর ব্যয়সংকোচন ও সরকারি খাতের ব্যাপক কাটছাঁটের ফলে ২০২৪ সালে আর্জেন্টিনা ১৪ বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো বাজেট উদ্বৃত্ত দেখেছে।
অর্থনৈতিক সংকট ও উচ্চ মুদ্রাস্ফীতির দীর্ঘ ইতিহাস রয়েছে আর্জেন্টিনার। দেশটি বর্তমানে আইএমএফ-এর সর্ববৃহৎ ঋণগ্রহীতা, এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত ইউক্রেনের চেয়েও বেশি।
২০১৮ সালে নেওয়া ৪৪ বিলিয়ন ডলারের আইএমএফ ঋণের নতুন করে চুক্তি করে শর্তাবলী পরিবর্তন করেছে আর্জেন্টিনা।