বাসস
  ০৯ জুলাই ২০২৫, ১৯:৫২

যুক্তরাষ্ট্রের বিমানবন্দরে থাকছে না জুতা খোলার বাধ্যবাধকতা 

ঢাকা, ৯ জুলাই ২০২৫ (বাসস): দীর্ঘ দুই দশক পর এখন থেকে যুক্তরাষ্ট্রে বিমানবন্দরের নিরাপত্তা তল্লাশির সময় যাত্রীদের আর জুতা খুলতে হবে না। মঙ্গলবার মার্কিন স্বরাষ্ট্র নিরাপত্তামন্ত্রী ক্রিস্টি নোম নতুন এ নীতির ঘোষণা দিয়েছেন।

ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ওয়াশিংটনের রোনাল্ড রিগ্যান ন্যাশনাল এয়ারপোর্টে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, ‘২০০১ সালে ‘জুতা বোমারু’ রিচার্ড রিডের ঘটনার পর ২০০৬ সালে এই নিয়ম চালু করা হয়। তখন থেকে অনেক কিছুই বদলে গেছে।’

নোম বলেন, ‘গত ২০ বছরে নিরাপত্তা প্রযুক্তি বিপুলভাবে উন্নত হয়েছে। টিএসএ এখন বহুস্তরভিত্তিক ও সরকারি সমন্বয়মূলক নিরাপত্তা ব্যবস্থায় কাজ করছে। আমরা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বলতে পারি, দেশি-বিদেশি যাত্রীদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করেই এখন আমরা একই মানের নিরাপত্তা বজায় রাখতে পারব।’

২০০১ সালের ডিসেম্বরে প্যারিস থেকে মায়ামিগামী আমেরিকান এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে থাকা অবস্থায় জুতায় লুকানো বিস্ফোরক ফিউজ জ্বালানোর চেষ্টা করেছিলেন আল-কায়েদা সংশ্লিষ্ট রিচার্ড রিড। কিন্তু অন্যান্য যাত্রীদের সহায়তায় তাকে প্রতিহত করা হয়।

পরবর্তীতে রিড সন্ত্রাসবাদসহ বিভিন্ন অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন এবং বর্তমানে তিনি কলোরাডোর একটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা কারাগারে যাবজ্জীবন সাজা ভোগ করছেন।

টিএসএ এক বিবৃতিতে জানায়, ‘ জুতা খোলার নিয়ম তুলে নেওয়া হলেও অন্যান্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা বহাল থাকবে। এর মধ্যে রয়েছে পরিচয় যাচাইকরণ, ‘সিকিওর ফ্লাইট’ যাচাই, এবং অন্যান্য নিরাপত্তা প্রক্রিয়া।’

২০০১ সালের ১১ সেপ্টেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ভয়াবহ হামলার পর বিমানবন্দরে একাধিক নিরাপত্তা-ব্যবস্থা চালু হয়। ওই হামলায় যাত্রীবাহী বিমান ব্যবহার করে নিউইয়র্কের টুইন টাওয়ার ও পেন্টাগনে আঘাত হানা হয়।

২০০৬ সালে যুক্তরাজ্যের গোয়েন্দারা বিমানবিমুখী তরল বিস্ফোরক দিয়ে হামলার একটি পরিকল্পনা ব্যর্থ করার পর থেকে যাত্রীদের সঙ্গে থাকা তরল ও জেলজাতীয় দ্রব্য (যেমন টুথপেস্ট) বহনে কড়াকড়ি আরোপ করা হয়।

এ ছাড়া সম্ভাব্য বিস্ফোরণ ঠেকাতে বৈদ্যুতিক সামগ্রীর ওপরও নজরদারি বাড়ানো হয়; যাত্রীদের ল্যাপটপ আলাদা করে স্ক্যান করানোর নিয়মও চালু হয়।