শিরোনাম
ঢাকা, ৫ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : হামাস শুক্রবার জানিয়েছে, তারা গাজায় যুদ্ধবিরতির প্রস্তাবে ‘অবিলম্বে’ আলোচনা শুরু করতে প্রস্তুত।
গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা জানিয়েছে, গাজায়ইসরাইলের চলমান হামলায় ৫০ জনেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে।
গাজা সিটি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
২১ মাস ধরে রক্তক্ষয়ী সংঘাতে বিধ্বস্ত গাজা উপত্যকায় আশার নতুন আলো দেখা যাচ্ছে। যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রস্তাবিত যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনার বিষয়ে ফিলিস্তিনি দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা করার পর এবং সোমবার ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহুর ওয়াশিংটন সফরের আগে হামাস জানিয়েছে, তারা ‘তাৎক্ষণিকভাবে’ আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
হামাস আনুষ্ঠানিকভাবে এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে প্রাপ্ত মার্কিন-সমর্থিত খসড়া যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবের শর্তাবলী বাস্তবায়নের জন্য তারা অবিলম্বে ও গুরুত্ব সহকারে আলোচনায় বসতে প্রস্তুত।
একইসঙ্গে হামাস মিত্র ইসলামিক জিহাদও আলোচনায় সম্মতি দিয়েছে, তবে তারা চায়— এ আলোচনার মাধ্যমে গাজায় স্থায়ী যুদ্ধবিরতির নিশ্চয়তা দেওয়া হোক।
তাদের মতে, কেবল সাময়িক যুদ্ধবিরতি নয়, দীর্ঘমেয়াদি সমাধানই এ সংকট নিরসনের একমাত্র পথ।
তবে, গাজায় বন্দীদের মুক্ত করার পরে ইসরাইল ‘তাদের আগ্রাসন পুনরায় শুরু করবে না’ এমন নিশ্চয়তা দাবি করেছে হামাস।
গাজায় সংঘাত শুরু হয়েছিল ৭ অক্টোবর, ২০২৩ সালে ইসরাইলের ওপর হামাসের ভয়াবহ আক্রমণের মাধ্যমে, যার ফলে হামাসকে ধ্বংস করে হামাস কর্তৃক আটক সমস্ত জিম্মিকে দেশে ফিরিয়ে আনার লক্ষ্যে একটি বিশাল ইসরাইলি আক্রমণ শুরু হয়েছিল।
কাতার, মিশর এবং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যস্থতায় পূর্ববর্তী দুটি যুদ্ধবিরতিতে যুদ্ধে সাময়িক বিরতি দেখা গেছে, যার সাথে ফিলিস্তিনি বন্দীদের বিনিময়ে ইসরাইলি জিম্মিকে মুক্তি দেওয়া হয়েছে।
গাজায় বন্দী সকল জিম্মিদের ভাগ্য নিয়ে ব্যাপক অভ্যন্তরীণ চাপের মুখে শুক্রবার নেতানিয়াহু তাদের ফিরিয়ে আনার প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন।
তিনি বলেন, ‘আমি প্রথম ও সব সময়, আমাদের সকল অপহৃতদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিত করার জন্য গভীর প্রতিশ্রুতি অনুভব করছি’।