শিরোনাম
ঢাকা, ৪ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : ইতালির রাজধানী রোমের একটি উপশহরে শুক্রবার সকালে একটি পেট্রোল ও তরলীকৃত প্রাকৃতিক গ্যাস (এলএনজি) স্টেশনে ভয়াবহ বিস্ফোরণে অন্তত ৪৫ জন আহত হয়েছেন। এদের মধ্যে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। বিস্ফোরণের ধাক্কায় রোম শহরের জানালাও কেঁপে ওঠে, আর অনেক বাসিন্দা ভেবেছিলেন বোমা হামলা হয়েছে।
রোম থেকে এএফপি জানায়, স্থানীয় সময় সকাল ৮টা ২০ মিনিটে (গ্রিনিচ সময় ০৬২০) বিস্ফোরণের আগে জ্বালানি ভরার সময় গ্যাস লিক থেকে আগুন ধরে যায় বলে জানিয়েছেন রোমের মেয়র রোবের্তো গুয়ালতিয়েরি।
তিনি দুর্ঘটনাস্থল প্রেনেস্তিনো এলাকায় জ্বালানি স্টেশন ও সংলগ্ন একটি ক্রীড়া কেন্দ্র পরিদর্শন করেন। সেখানে বিস্ফোরণে পোড়া ধ্বংসস্তূপ এবং ঘন কালো ধোঁয়া দেখা যায়।
২৩ বছর বয়সী মিশেল সেকু, যিনি বিস্ফোরণে ধ্বংস হওয়া ক্রীড়া কেন্দ্রে কাজ করতেন, বলেন, ‘বিস্ফোরণটা এতটা শক্তিশালী ছিল যে মনে হচ্ছিল চামড়া পুড়ে যাচ্ছে।’
বিস্ফোরণের আগে জরুরি সেবা সংস্থাগুলো গ্যাস লিকেজের খবর পেয়ে এলাকায় পৌঁছে যায় এবং শিশুদের গ্রীষ্মকালীন শিবিরসহ আশপাশ খালি করে দেয়।
আহতদের মধ্যে ২১ জন জরুরি সেবার কর্মী, যাদের মধ্যে ১২ জন পুলিশ সদস্য রয়েছেন বলে রোম পুলিশ এএফপিকে জানিয়েছে।
স্থানীয় স্বাস্থ্য কর্তৃপক্ষের বরাতে এজি আই সংবাদ সংস্থা জানায়, দুজন পুরুষকে গুরুতর অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে, যাদের একজনের শরীরের ৫৫ শতাংশ পুড়ে গেছে।
ক্রীড়া কেন্দ্রের প্রধান ফাবিও বালজানি বলেন, ‘আগুন যদি একটু পরে লাগত, তাহলে ভয়াবহ পরিস্থিতি হতো। গ্রীষ্মকালীন শিবিরে ৬০টি শিশুর আসার কথা ছিল এবং প্রায় ১২০ জন তাপপ্রবাহ থেকে মুক্তি পেতে সুইমিং পুলে আসতেন। তাহলে এটা একেবারে গণহত্যায় রূপ নিত।’
কারাবিনিয়েরি বাহিনীর স্থানীয় প্রধান আন্দ্রেয়া কোয়াত্রোচ্চি জানান, ‘আমরা একটি জ্বলন্ত গাড়ি থেকে একজনকে জীবিত উদ্ধার করেছি।’
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, আগুনে একটি অ্যাম্বুলেন্সও বিস্ফোরিত হয়েছে।
লাতসিওর ফায়ার সার্ভিসের প্রধান এননিও আকুইলিনো বলেন, উচ্চচাপে থাকা তরল হঠাৎ বাষ্পে পরিণত হয়ে পাত্র ফেটে গেলে এমন বিস্ফোরণ ঘটে থাকে। ‘এর প্রভাব যেন একটা বোমা ফাটার মতোই,’ বলেন তিনি।
ইতালির প্রধানমন্ত্রী জর্জিয়া মেলোনি জানান, তিনি পরিস্থিতির ওপর নজর রাখছেন এবং আহতদের পাশে থাকার অঙ্গীকার করেন।