বাসস
  ০২ জুলাই ২০২৫, ১৩:৩৮

অস্ট্রেলিয়ার বিমান সংস্থা বড় ধরণের সাইবার হামলার শিকার

ঢাকা, ২ জুলাই, ২০২৫ (বাসস) : অস্ট্রেলিয়ার বিমান সংস্থা কোয়ান্টাসের পক্ষ থেকে বুধবার জানানো হয়েছে, তারা একটি বড় ধরণের সাইবার হামলার শিকার হয়েছে।

হ্যাকাররা এই বিমান সংস্থার ৬০ লাখ গ্রাহকের সংবেদনশীল তথ্য সম্বলিত সিস্টেমে অনুপ্রবেশ করে। 

সাইবার আক্রমণের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানায় সংস্থাটি।

সিডনি থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

কোয়ান্টাস জানিয়েছে, তাদের একটি গ্রাহক যোগাযোগ কেন্দ্রকে লক্ষ্যবস্তু করেছে হ্যাকাররা। তৃতীয় পক্ষের ব্যবহৃত একটি কম্পিউটার সিস্টেমের মাধ্যমে হ্যাকাররা অনুপ্রবেশ করেছে।

অস্ট্রেলিয়ার নীল-চিপ কোম্পানিটি জানিয়েছে, গ্রাহকের নাম, ইমেল ঠিকানা, ফোন নম্বর এবং জন্মদিনের মতো সংবেদনশীল তথ্যে তাদের অ্যাক্সেস ছিল।

সংস্থাটি এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, এই প্ল্যাটফর্মে ৬০ লাখ গ্রাহকের পরিষেবা নথিভুক্ত রয়েছে’। 

‘আমরা চুরি হওয়া তথ্যের পরিমাণ নির্ধারণে তদন্ত চালিয়ে যাচ্ছি, যদিও আমাদের আশঙ্কা, এটি উল্লেখযোগ্য হবে।’

কোয়ান্টাসের দাবি, ক্রেডিট কার্ডের বিবরণ এবং পাসপোর্ট নম্বর সিস্টেমে রাখা হয়নি।

‘কোয়ান্টাসের কার্যক্রম বা বিমান সংস্থার নিরাপত্তার ওপর এর কোনও প্রভাব পড়বে না।’

প্রধান নির্বাহী ভেনেসা হাডসন বলেন, কোয়ান্টাসের পক্ষ থেকে অস্ট্রেলিয়ার জাতীয় সাইবার নিরাপত্তা সমন্বয়কারীকে অবহিত করা হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘আমরা আমাদের গ্রাহকদের কাছে আন্তরিকভাবে ক্ষমা চাইছি এবং এর ফলে যে অনিশ্চয়তা তৈরি হবে তা আমরা স্বীকার করছি’। 

তিনি বলেন, ‘আমাদের গ্রাহকরা তাদের ব্যক্তিগত তথ্যের ব্যাপারে আমাদের ওপর আস্থা রাখেন এবং আমরা সেই দায়িত্ব গুরুত্বের সাথে নিয়ে থাকি।’

কোয়ান্টাস ২০২৪ সালে তাদের মোবাইল অ্যাপের ত্রুটির কারণে কিছু যাত্রীর নাম এবং ভ্রমণের বিবরণ প্রকাশ পাওয়ার পর ক্ষমা চেয়েছিল।

সাম্প্রতিক বছরগুলোতে বেশ কয়েকটি বড় সাইবার আক্রমণ অস্ট্রেলিয়ানদের ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষা নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে।

অপারেটর ডিপি ওয়ার্ল্ডের কম্পিউটারে হ্যাকাররা অনুপ্রবেশ করার পর অস্ট্রেলিয়ার ৪০ শতাংশ পণ্য পরিবহনকারী বন্দরগুলো ২০২৩ সালে বন্ধ করে দেওয়া হয়।

২০২২ সালে রাশিয়া-ভিত্তিক হ্যাকাররা অস্ট্রেলিয়ার অন্যতম বৃহৎ বেসরকারি স্বাস্থ্য বীমা কোম্পানির হ্যাকিংয়ের মাধ্যমে নব্বই লাখেরও বেশি বর্তমান এবং প্রাক্তন গ্রাহকের তথ্য হাতিয়ে নেয়।

একই বছর টেলিকম কোম্পানি অপটাসও একই মাত্রার হ্যাকিংয়ের শিকার হয় যেখানে ৯৮ লাখ লোকের ব্যক্তিগত তথ্যে প্রবেশ করা হয়েছিল।