শিরোনাম
ঢাকা, ৩ জুন, ২০২৫ (বাসস) : বিশ্বের দুই বৃহত্তম অর্থনীতির মধ্যে বাণিজ্য উত্তেজনা ফের তুঙ্গে ওঠার প্রেক্ষাপটে সোমবার হোয়াইট হাউস জানিয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং চীনের প্রেসিডেন্ট শি জিংপিং সম্ভবত এই সপ্তাহের শেষের দিকে একটি দীর্ঘ প্রতীক্ষিত ফোনালাপ করবেন।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
বিশ্বের দ্বিতীয় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ চীনকে একটি চুক্তি লঙ্ঘনের জন্য অভিযুক্ত করলে গত সপ্তাহে চীনের সাথে ট্রাম্পের আবারও উত্তেজনা দেখা দেয়। যার ফলে উভয় দেশই সাময়িকভাবে বিশাল পরিমাণে শুল্ক কমাতে বাধ্য হয়েছিল।
ট্রাম্প এবং শি কথা বলবেন কিনা জানতে চাইলে ওয়েস্ট উইংয়ের বাইরে সাংবাদিকদের প্রেস সেক্রেটারি ক্যারোলিন লিভিট বলেন, ‘এই সপ্তাহেই দুই নেতা সম্ভবত কথা বলবেন।’
মঙ্গলবারের বিবৃতি সম্পর্কে জানতে চাইলে, চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের এক মুখপাত্র বলেছেন, বেইজিংয়ের কাছে ‘দেওয়ার মতো কোনো তথ্য নেই।’
রিপাবলিকান ক্ষমতায় ফিরে আসার পাঁচ মাসেরও বেশি সময় ধরে ট্রাম্প এবং শি এখনও কোনো যোগাযোগ করেননি। যদিও মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারবার দাবি করেছেন, একটি ফোনালাপ আসন্ন।
এমনকি এপ্রিল মাসে টাইম ম্যাগাজিনের এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প বলেছিলেন, শি তাকে ফোন করেছেন। কিন্তু বেইজিং জোর দিয়ে বলেছে, সম্প্রতি কোনো ফোন আসেনি।
মার্কিন নেতা এপ্রিল মাসে বিশ্বব্যাপী ব্যাপক শুল্ক আরোপ করেন। সবচেয়ে বেশি শুল্ক আরোপ করেন চীনকে টার্গেট করে। অন্যান্য দেশগুলোকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রকে ‘ছিনতাই’ করার এবং বাণিজ্য ভারসাম্যহীনতা চালানোর অভিযোগে অভিযুক্ত করে।
গত মাসে জেনেভায় শীর্ষ কর্মকর্তাদের মধ্যে আলোচনার পর বেইজিং এবং ওয়াশিংটন ৯০ দিনের জন্য একে অপরের উপর বিস্ময়করভাবে উচ্চ শুল্ক স্থগিত করতে সম্মত হয়েছিল।
কিন্তু ট্রাম্প এবং ওয়াশিংটনের অন্যান্য শীর্ষ কর্মকর্তারা গত সপ্তাহে চীনের বিরুদ্ধে চুক্তি লঙ্ঘনের অভিযোগ এনেছিলেন। বাণিজ্যমন্ত্রী হাওয়ার্ড লুটনিক রোববার ‘ফক্স নিউজ’কে দেওয়া এক মন্তব্যে বলেছেন, বেইজিং চুক্তিটি ‘ধীরে ধীরে’ বাস্তবায়ন করছে।
সোমবার বেইজিং মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ‘ভুয়া’ দাবি প্রত্যাখ্যান করেছে এবং ওয়াশিংটনের বিরুদ্ধে ‘বেশ কিছু বৈষম্যমূলক বিধিনিষেধমূলক ব্যবস্থা’ চালু করার অভিযোগ করেছে।
বুধবার থেকে ইস্পাত ও অ্যালুমিনিয়ামের উপর বিশ্বব্যাপী শুল্ক দ্বিগুণ করে ৫০ শতাংশ করার প্রতিশ্রুতি দিয়ে ট্রাম্প আলাদাভাবে ইউরোপীয় ইউনিয়নসহ অন্যান্য বাণিজ্য অংশীদারদের সাথে উত্তেজনা বাড়িয়েছেন।