শিরোনাম
ঢাকা, ৩ জুন, ২০২৫ (বাসস): কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক গবেষণা প্রতিষ্ঠান গুগল ডিপমাইন্ডের সিইও এবং এআই গবেষণার অগ্রপথিক ডেমিস হাসাবিস বলেছেন, এআই নিয়ন্ত্রণে বৃহত্তর আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন, তবে বর্তমান ভূরাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে তা বাস্তবায়ন করা ‘কঠিন’।
লন্ডন থেকে এএফপি জানায়, এখন এআই সব ধরনের শিল্পে ব্যবহার হচ্ছে, তবে এর কারণে বড় বড় নৈতিক সমস্যাও দেখা দিয়েছে। ভুল তথ্য ছড়ানো, কাজের সুযোগ কমে যাওয়া, আর প্রযুক্তির নিয়ন্ত্রণ হারানো এর মধ্যে অন্যতম।
সোমবার একটি আন্তর্জাতিক প্রযুক্তি উৎসবে এআই নিয়ে গবেষণার জন্য রসায়নে নোবেল পুরস্কার পাওয়া ডেমিস হাসাবিস বললেন, ‘কৃত্রিম সাধারণ বুদ্ধিমত্তা (এজিআই) নামে এমন একটি প্রযুক্তি আসছে যা মানুষকে টেক্কা দিতে পারে এমনকি এটি এরচেয়েও বেশি ক্ষমতাসম্পন্ন হতে পারে।’
হাসাবিস আরও বলেন, ‘সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো, এ ক্ষেত্রে কোনো না কোনো আকারে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা প্রয়োজন। কারণ, এই প্রযুক্তি কোনো দেশের সীমানায় আটকে থাকবে না। এটি সব দেশে প্রয়োগ হবে।
তিনি বলেন, ‘অনেক দেশ এআই নিয়ে গবেষণা করছে, ডেটা সেন্টার তৈরি করছে বা প্রযুক্তি পরিচালনা করছে। তাই, কাজটি সফল করতে হলে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা বা অংশীদারিত্ব প্রয়োজন। কিন্তু আজকের বিশ্ব রাজনীতিতে সেটা খুবই কঠিন।’
গত ফেব্রুয়ারিতে প্যারিসে অনুষ্ঠিত এআই শীর্ষ সম্মেলনে চীন, ফ্রান্স, ভারত, ইউরোপীয় ইউনিয়ন ও আফ্রিকান ইউনিয়ন কমিশনসহ ৫৮টি দেশ এআই নিয়ন্ত্রন ব্যবস্থায় সমন্বয় বাড়ানোর আহ্বান জানিয়েছে। কিন্তু এর উপর অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের বিরোধিতা করে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ভাইস প্রেসিডেন্ট জে ডি ভ্যান্স বলেন, ‘অতিরিক্ত নিয়ন্ত্রণের মাধ্যমে বিকাশমান এই খাতটি মারা পড়তে পারে।’
যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি যুক্তরাজ্যও সম্মেলনের ‘উন্মুক্ত’, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক’ এবং ‘নৈতিক’ এআই সম্পর্কিত আবেদনে স্বাক্ষর করেনি।
প্রযুক্তি কোথায় গিয়ে পৌঁছায় এবং সেখানে কি ধরণের সমস্যা হয়- নিয়মগুলোকে সেই অনুযায়ী খাপ খাওয়াতে প্রযুক্তির সপ্রতিভ ও পরিবর্তনশীল নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থার উপর জোর দেন হাসাবিস।