শিরোনাম
ঢাকা, ১ জুন, ২০২৫ (বাসস) : জলবায়ু পরিবর্তন নিয়ে সংশয় পোষণকারী নীতিগুলো বিমান খাতের ২০৫০ সালের মধ্যে কার্বন নির্গমনমুক্ত হওয়ার অঙ্গীকার বাস্তবায়নকে ‘ঝুঁকির মুখে’ ফেলবে বলে রোববার সতর্ক করেছে আন্তর্জাতিক বেসামরিক বিমান পরিবহণ সংস্থা (আইএটিএ)।
নয়াদিল্লি থেকে এএফপি জানায়, আইএটিএর জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি (টেকসইয়তা) মেরি ওউয়েন্স থমসেন বলেন, 'জ্বালানি তেলপ্রেমী
নেতাদের আবির্ভাব যেমন বর্তমান মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং সাম্প্রতিক নিয়ন্ত্রণমূলক নীতিমালার শিথিলতা—এগুলো স্পষ্টতই একটি পশ্চাদপসরণ... এটা ২০৫০ সালের লক্ষ্যে সফলতা অর্জনকে ঝুঁকিতে ফেলবে।'
তিনি আরও বলেন, 'তবে আমি মনে করি না এতে অগ্রগতি থেমে যাবে বা উল্টো দিকে ফিরবে। বরং এতে কেবল অগ্রগতি ধীর হবে।' ভারতের আয়োজিত আইএটিএর বার্ষিক শিল্প সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
জাতিসংঘের বেসামরিক বিমান চলাচল বিষয়ক সংস্থার (আইসিএও) সদস্য রাষ্ট্রগুলো ২০৫০ সালকে লক্ষ্য ধরে বিমান চলাচলকে নিট-শূন্য কার্বন নিঃসরণে পৌঁছার প্রতিশ্রুতি দিয়েছে—যে খাতকে জলবায়ু পরিবর্তনের জন্য অতিরিক্ত দায়ী হিসেবে দেখা হয়।
বিমান পরিবহণ খাতকে জলবায়ু সংকট মোকাবেলায় আরও সক্রিয় হওয়ার জন্য ক্রমবর্ধমান চাপের মুখোমুখি হতে হচ্ছে।
বর্তমানে বৈশ্বিক মোট কার্বন নিঃসরণের ২.৫ থেকে ৩ শতাংশের জন্য দায়ী এই খাত। নবায়নযোগ্য জ্বালানির দিকে রূপান্তর করাটা কঠিন হয়ে পড়েছে, যদিও বিমান নির্মাতা প্রতিষ্ঠান এবং জ্বালানি কোম্পানিগুলো এ নিয়ে অগ্রগতি সাধনে সচেষ্ট।
নিট-শূন্য নির্গমন অর্জনের জন্য বিমান সংস্থাগুলো নির্ভর করছে জীবাশ্মবিহীন ‘টেকসই বিমান জ্বালানি’ (এসএএফ)-এর ওপর।
আইএটিএর সদস্যরা ২০২১ সালের সাধারণ সভায়, আইসিএওর এক বছর আগেই, এই উচ্চাকাঙ্ক্ষী লক্ষ্য নির্ধারণ করে, যার বাস্তবায়নে বিপুল বিনিয়োগ প্রয়োজন।
তবে এই টেকসই জ্বালানিগুলোর দাম এখনো পেট্রোলিয়ামভিত্তিক জেট জ্বালানির তুলনায় তিন থেকে চার গুণ বেশি।
ওয়াশিংটনের নতুন রিপাবলিকান প্রশাসন জীবাশ্ম জ্বালানির উন্নয়নে সমর্থন দিচ্ছে, যা আগের ডেমোক্রেট প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের প্রশাসনের অবস্থানের সঙ্গে সম্পূর্ণ বিপরীত।