বাসস
  ০১ জুন ২০২৫, ১১:১৮

দক্ষিণ কোরিয়ায় ৩ জুনের নির্বাচনের আগে প্রার্থীদের প্রচার তুঙ্গে

ঢাকা, ১ জুন, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ কোরিয়ার প্রধান প্রেসিডেন্ট প্রার্থীরা রোববার জোরালো প্রচারণা চালিয়েছেন। আগামী ৩ জুন অনুষ্ঠেয় আগাম নির্বাচনের মাত্র দুই দিন আগে এই কর্মসূচি অনুষ্ঠিত হলো।

সিউল থেকে এএফপি জানায়, এই নির্বাচন ডাকা হয়েছে সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের মার্শাল ল’ জারির চূড়ান্ত ব্যর্থতার পর, যা দেশজুড়ে তীব্র রাজনৈতিক অস্থিরতার জন্ম দেয়। গত ডিসেম্বর মাসে তার পক্ষ থেকে সাময়িকভাবে বেসামরিক শাসন স্থগিত করা হয়, যার পরিণতিতে তিনি অভিশংসিত ও পদচ্যুত হন।

সবশেষ গ্যালাপ জরিপসহ প্রায় সব জনমত জরিপে দেখা গেছে যে, প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে উদারপন্থী প্রার্থী লি জে-মিয়ং এগিয়ে রয়েছেন। গ্যালাপের জরিপে ৪৯ শতাংশ ভোটার তাকে সেরা প্রার্থী হিসেবে উল্লেখ করেছেন।

অন্যদিকে রক্ষণশীল পিপল পাওয়ার পার্টির (পিপিপি) প্রার্থী কিম মুন-সু, যিনি ইউন সুক ইওলের নিজ দলে ছিলেন, লি’র চেয়ে পিছিয়ে রয়েছেন—৩৫ শতাংশ ভোটার তার পক্ষে মত দিয়েছেন।

৬০ বছর বয়সী লি জে-মিয়ং রোববার তার নিজ শহর আন্দং থেকে প্রচার শুরু করেন। রাজধানী সিউল থেকে ২৪০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বে অবস্থিত এই শহরে লি সমর্থকদের উদ্দেশে বলেন, তিনি উন্নয়নকে শুধু রাজধানী অঞ্চলে সীমিত না রেখে অন্যান্য অঞ্চলেও বিস্তৃত করতে চান।

লি বলেন, ‘আমরা কেবল আঞ্চলিক সমতা ভিত্তিক উন্নয়ন চাই না, বরং সিউলের বাইরের অঞ্চলগুলোকে অতিরিক্ত প্রণোদনা দিয়ে এগিয়ে নিতে চাই।’

তিনি এ সময় বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরে ছিলেন। জানুয়ারি ২০২৪ সালে বুসানে এক ভুয়া সমর্থকের ছুরিকাঘাতে গলায় গুরুতর আহত হওয়ার পর থেকে লি বাড়তি নিরাপত্তা ব্যবস্থার আওতায় প্রচার চালাচ্ছেন। সেই ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ব্যক্তি স্বীকার করেছিলেন, তার উদ্দেশ্য ছিল লি’কে হত্যা করা, যাতে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে না পারেন।

লি রোববার সন্ধ্যায় বুসানে প্রচারণা চালাবেন।

অন্যদিকে কিম মুন-সু রাজধানী সিউল এলাকার আশপাশে প্রচার চালানোর পরিকল্পনা করেছেন। তিনি রোববার সিউলের কাছে সুওন শহরে একটি সমাবেশের মাধ্যমে প্রচার শুরু করেন এবং সেখানে প্রতিদ্বন্দ্বী লি’র নিরাপত্তাব্যবস্থা নিয়ে কটাক্ষ করেন।

তিনি বলেন, ‘দেখুন, আমি কোনো বুলেটপ্রুফ জ্যাকেট পরিনি। অথচ লি এখন বুলেটপ্রুফ ঢাল ব্যবহার করছেন—শুধু জ্যাকেটেই তার সন্তুষ্টি নেই।’

কিম বলেন, ‘এ ধরনের বুলেটপ্রুফ পদক্ষেপের আড়ালে লি একটি একনায়কতন্ত্র চাপিয়ে দেওয়ার প্রস্তুতি নিচ্ছেন। আমাদের তা রুখে দিতে হবে।’

দক্ষিণ কোরিয়ার জাতীয় নির্বাচন কমিশনের তথ্য অনুযায়ী, আগাম ভোটের দুই দিনব্যাপী কার্যক্রমে প্রায় ৩৫ শতাংশ ভোটার ইতোমধ্যেই তাদের ভোটাধিকার প্রয়োগ করেছেন।