শিরোনাম
ঢাকা, ৩১ মে, ২০২৫ (বাসস) : সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীসহ একাধিক আরব দেশের শীর্ষ কূটনীতিক পশ্চিম তীর সফরে গেলে তাদের সঙ্গে কোনো ধরনের সহযোগিতা করবে না বলে জানিয়েছে ইসরাইল। শুক্রবার দেশটির এক সরকারি কর্মকর্তা একথা জানান।
ফিলিস্তিনি ভূখণ্ড হলেও পশ্চিম তীরের সীমান্ত ও আকাশসীমার নিয়ন্ত্রণ রয়েছে ইসরাইলের হাতে। ফলে কূটনীতিকদের প্রবেশে ইসরাইলের অনুমতি প্রয়োজন।
জেরুজালেম থেকে এএফপি জানায়, ইসরাইলি ওই কর্মকর্তা বলেন, 'ফিলিস্তিনি কর্তৃপক্ষ—যারা আজও ৭ অক্টোবরের গণহত্যাকে নিন্দা জানাতে অস্বীকৃতি জানায়—তারা রামাল্লায় আরব পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের একটি উসকানিমূলক বৈঠকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে। এই বৈঠকের উদ্দেশ্য হলো একটি ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠার প্রচেষ্টা।'
তিনি আরও বলেন, 'এই ধরনের রাষ্ট্র নিঃসন্দেহে ইসরাইলের হৃদয়ে একটি সন্ত্রাসী রাষ্ট্রে পরিণত হবে। ইসরাইল এমন কোনো প্রচেষ্টায় অংশ নেবে না, যা তাকে ও তার নিরাপত্তাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে।'
এর আগে এক কূটনৈতিক সূত্র এএফপিকে জানায়, সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রী প্রিন্স ফয়সাল বিন ফারহান রোববার রামাল্লায় যাবেন। এটি হবে কোনো সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রথম পশ্চিম তীর সফর।
সিএনএনের প্রতিবেদন অনুযায়ী, সংযুক্ত আরব আমিরাত, মিসর, জর্ডান, কাতার ও তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরাও সফরে সৌদি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে থাকবেন।
এমন এক সময় সফরের এই পরিকল্পনা সামনে এলো, যখন চলতি সপ্তাহেই ইসরাইল পশ্চিম তীরে নতুন করে ২২টি বসতির অনুমোদন দিয়েছে। জাতিসংঘ এসব বসতিকে নিয়মিত অবৈধ ঘোষণা করে আসছে এবং এগুলোকে ইসরাইল-ফিলিস্তিন শান্তিপ্রচেষ্টার অন্যতম প্রধান বাধা হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।
ইসরাইলি প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইসরাইল কাৎজ শুক্রবার এসব নতুন বসতির একটি এলাকা পরিদর্শন করেন। তিনি সেখানে বলেন, 'আমরা পশ্চিম তীরে একটি ইহুদি ইসরাইলি রাষ্ট্র গড়ব।'
তিনি আরও বলেন, 'যেসব বিদেশি রাষ্ট্র কাগজে-কলমে ফিলিস্তিনি রাষ্ট্রকে স্বীকৃতি দিচ্ছে, তাদের প্রতি আমাদের বার্তা—সেই কাগজ ইতিহাসের আবর্জনার ঝুড়িতে ছুঁড়ে ফেলা হবে। আর ইসরাইল রাষ্ট্র সমৃদ্ধির পথে এগিয়ে যাবে।'
আগামী জুনে জাতিসংঘ সদরদপ্তরে ইসরাইল-ফিলিস্তিন দ্বিরাষ্ট্র সমাধান পুনর্জীবিত করতে আন্তর্জাতিক সম্মেলন আয়োজন করতে যাচ্ছে সৌদি আরব ও ফ্রান্স।
গাজা যুদ্ধ শুরুর আগে সৌদি আরবের ইসরায়েলকে স্বীকৃতি দেওয়ার খুব কাছাকাছি পৌঁছে গিয়েছিল বলে ধারণা করা হয়। তবে সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান স্পষ্ট করেছেন, একটি স্বাধীন ফিলিস্তিনি রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা ছাড়া ইসরাইলকে স্বীকৃতি দেবে না রিয়াদ।