শিরোনাম
ঢাকা, ৩১ মে, ২০২৫ (বাসস) : ইউরোপীয় ইউনিয়নের কূটনৈতিক প্রধান কায়া কালাস বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের প্রশাসনের ‘কঠোর ভালোবাসা’ ইউরোপের প্রতিরক্ষা ব্যয় বৃদ্ধিতে সহায়ক হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ইউরোপের নিরাপত্তা এবং এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা একে অপরের সঙ্গে গভীরভাবে সংযুক্ত।
সিঙ্গাপুর থেকে এএফপি জানায়, শনিবার সিঙ্গাপুরে অনুষ্ঠিত শাংরি-লা প্রতিরক্ষা ফোরামে বক্তব্য দেওয়ার সময় কালাস এ মন্তব্য করেন। তিনি মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথের আগের বক্তব্যের জবাবে এসব কথা বলেন। হেগসেথ বলেছিলেন, ট্রাম্পের প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বৃদ্ধির দাবি ‘কঠোর ভালোবাসার’ প্রকাশ।
এই বক্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় কালাস হালকা কৌতুক করে বলেন, 'এটা ভালোবাসাই—সেটা কঠোর হোক বা না হোক। ভালোবাসা না থাকার চেয়ে কঠোর ভালোবাসা বরং শ্রেয়।'
প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প ন্যাটো সদস্য দেশগুলোর ওপর দীর্ঘদিন ধরে প্রতিরক্ষা খাতে ব্যয় বাড়ানোর চাপ দিয়ে আসছেন। কখনও কখনও তিনি জিডিপির ৫ শতাংশ পর্যন্ত ব্যয় দাবি করেছেন এবং বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র ‘অপরের বোঝা বহন করবে না’।
কালাস বলেন, “ইউরোপের বিভিন্ন দেশের অবস্থান আলাদা। আমাদের মধ্যে কেউ কেউ অনেক আগেই বুঝেছি যে প্রতিরক্ষায় বিনিয়োগ করা জরুরি।'
তিনি বলেন, 'আমরা এখন যে বাড়তি কাজ করছি তা ইতিবাচক। তবে আমি জোর দিয়ে বলতে চাই, ইউরোপ ও প্যাসিফিক অঞ্চলের নিরাপত্তা একে অপরের সঙ্গে ওতপ্রোতভাবে জড়িত।'
তিনি ইউক্রেন যুদ্ধের প্রসঙ্গ টেনে বলেন, সেখানে উত্তর কোরিয়ার সেনারা ইতোমধ্যেই যুদ্ধক্ষেত্রে অংশ নিচ্ছে এবং চীন রাশিয়াকে সামরিক যন্ত্রাংশ সরবরাহ করছে।
কালাস বলেন, 'মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রীর বক্তব্যে চীনকে ঘিরে কিছু জোরালো বার্তা ছিল। আমি আবারও বলছি, যদি চীন নিয়ে আপনি উদ্বিগ্ন হন, তাহলে রাশিয়াকে নিয়েও উদ্বিগ্ন হওয়া উচিত।'
তিনি জানান, ইউরোপীয় ইউনিয়ন প্রতিরক্ষা ক্ষেত্রসহ পারস্পরিক স্বার্থের ভিত্তিতে এশিয়া-প্যাসিফিক অঞ্চলের সঙ্গে অংশীদারত্ব গড়তে চায়।
'ইউরোপীয় ইউনিয়ন এখন কেবল একটি শান্তি প্রকল্প নয়, এটি কঠোর প্রতিরক্ষা সক্ষমতায় সজ্জিত একটি নতুন রূপ কল্পনা করেছে,' বলেন কালাস। 'আমরা শিগগিরই একটি বৈশ্বিক নিরাপত্তা অংশীদারে পরিণত হচ্ছি।'
এর আগে, প্রতিরক্ষামন্ত্রী হেগসেথ বলেন, 'আমরা আমাদের ইউরোপীয় মিত্রদের নিজেদের নিরাপত্তার দায়িত্ব নিতে এবং প্রতিরক্ষা খাতে আরও বেশি বিনিয়োগ করতে চাপ দিচ্ছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের জন্যই তারা এখন উদ্যোগ নিচ্ছে।'