শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন বিচার বিভাগ (ডিওজে) ২০২২ সালে চার সদস্যের একটি ভারতীয় পরিবারের সকল সদস্যের মর্মান্তিক মৃত্যুর দায়ে বুধবার দুই ব্যক্তিকে সাজা দিয়েছে। সাজাপ্রাপ্তত্ম দুজনই মানব পাচারকারী।
তাদের পাচারের সময় মৃতদের মধ্যে তিন বছর ও ১১ বছর বয়সী দুই শিশুও রয়েছে।
ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, ২৯ বছর বয়সী হর্ষকুমার রমনলাল প্যাটেলকে ১০ বছরেরও বেশি ও ৫০ বছর বয়সী স্টিভ অ্যান্থনি শ্যান্ডকে ছয় বছরের বেশি কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছে।
বিচার কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বড় ধরনের মানব পাচারে যুক্ত থেকে জালিয়াতিপূর্ণ ছাত্র ভিসায় ভারতীয় নাগরিকদের কানাডায় আনা এবং তারপর তাদের মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচার করায় জড়িত থাকার দায়ে একটি জুরি এই দুজনকে দোষী সাব্যস্ত করেছে।
২০২২ সালের জানুয়ারিতে, তীব্র আবহাওয়ার মধ্যে, প্যাটেল ও শ্যান্ড কানাডা থেকে ১১ জন ভারতীয় নাগরিককে পায়ে হেঁটে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে পাচারের চেষ্টা করে। ডিওজে জানিয়েছে, এসময় রেকর্ড করা বাতাসের ঠান্ডা তাপমাত্রা ছিল -৩৭.৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস (-৩৬ ডিগ্রি ফারেনহাইট) ।
একজন মার্কিন সীমান্ত টহল এজেন্ট মিনেসোটার তুষারে আটকে থাকা শ্যান্ডের ভ্যানটি দেখতে পান। তবে শ্যান্ড দাবি করেছিল যে ঠান্ডায় আর কোনো লোক আটকা পড়েনি।
কিন্তু একটি মাঠ থেকে আরো পাঁচজন বেরিয়ে আসেন, যার মধ্যে একজনকে বিমানে করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। দুই অভিবাসীসহ শ্যান্ডকে গ্রেফতার করা হয়।
কিন্তু চারজনের পরিবারকে খুঁজে পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে রয়্যাল কানাডিয়ান মাউন্টেড পুলিশ কানাডার একটি বিচ্ছিন্ন এলাকায় তাদের নিথর মৃতদেহ খুঁজে পায়।
ফেডারেল প্রসিকিউটররা অভিযুক্ত চক্রের নেতা হর্ষকুমার রমনলাল প্যাটেলের জন্য প্রায় ২০ বছর এবং পরিবারটিকে তুলে নেওয়ার অভিযোগ থাকা চালক স্টিভ অ্যান্থনি শ্যান্ডের প্রায় ১১ বছর কারাদণ্ডের সুপারিশ করেছিল।