বাসস
  ২৯ মে ২০২৫, ১২:০৪

নাইজেরিয়ায় ১০ হাজারেরও বেশি মানুষ নিহত হয়েছে : অ্যামনেস্টি

ছবি : অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনালের ওয়েবসাইট থেকে নেওয়া

ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (বাসস): নাইজেরিয়ায় উত্তর ও মধ্যাঞ্চলে দুই বছরে জিহাদি গোষ্ঠী এবং অপরাধী চক্রের সহিংসতায় নিহতের সংখ্যা ১০ হাজারেরও বেশি ছাড়িয়েছে। বৃহস্পতিবার অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল একথা জানিয়েছে।

ঠ্যামনেস্টিও এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গোষ্ঠীটি দেশটির প্রেসিডেন্ট বোলা টিনুবুর সরকারকে জিহাদিদের অভিযান এবং ‘দস্যু’ নামে পরিচিত অপরাধী চক্রের আক্রমণ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত দেশের বিভিন্ন অংশের মানুষকে রক্ষা করতে ব্যর্থতার জন্য দায়ী করেছে। এসব অপরাধী চক্র গ্রামে আক্রমণ করে বাসিন্দাদের হত্যা ও অপহরণ করে। 

লাগোস থেকে এএফপি এই খবর জানায়।

মধ্য নাইজেরিয়ার তথাকথিত মিডল বেল্টেও গণহত্যা সংঘটিত হয় যেখানে পশুপালক এবং কৃষকরা প্রায়শই জমি দখল নিয়ে সংঘর্ষে লিপ্ত হয়। 

অ্যামনেস্টির তদন্তে দেখা গেছে, ‘বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর থেকে দুই বছরে বন্দুকধারীদের হামলায় কমপক্ষে ১০ হাজার ২শ’ ১৭ জন নিহত হয়েছে।’

টিনুবুর ক্ষমতায় আসার প্রথম দুই বছরের সাথে মিল রেখে প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, মধ্যাঞ্চলে অবস্থিত বেনু রাজ্যে সবচেয়ে বেশি ৬,৮৯৬ জন নিহত হয়েছে। এরপরই রয়েছে প্লেটো রাজ্য, যেখানে ২,৬৩০ জন নিহত হয়েছে।

অ্যামনেস্টি যে সাতটি রাজ্যের তদন্ত করেছে, তার মধ্যে বোর্নো ২০০৯ সাল থেকে উত্তরপূর্ব নাইজেরিয়ায় জিহাদি সহিংসতার কেন্দ্রস্থল হিসেবে অন্তর্ভুক্ত ছিল না।

দুই বছর আগে টিনুবু ক্ষমতায় আসার পর তিনি প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন, নিরাপত্তাহীনতা মোকাবেলা করা তার সরকারের জন্য অন্যতম প্রধান চ্যালেঞ্জ।
অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল নাইজেরিয়ার পরিচালক ইসা সানুসি বলেছেন, ‘পরিস্থিতি আরো খারাপ হয়েছে। কারণ, কর্তৃপক্ষ সারা দেশে হাজার হাজার মানুষের জীবনের অধিকার, শারীরিক নিরাপত্তা, স্বাধীনতা এবং নিরাপত্তা রক্ষা করতে ব্যর্থ হচ্ছে।’

জিহাদি এবং অন্যান্য অপরাধী গোষ্ঠীগুলো কয়েক বছর ধরে টার্গেট করে আসা উত্তরাঞ্চলীয় রাজ্যগুলোতে সাম্প্রতিক মাসগুলোতে হামলার ঘটনা বেড়েছে।

সানুসি বলেছেন, ‘বোকো হারাম এবং অন্যান্য সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর সাম্প্রতিক আক্রমণগুলো দেখায় যে, প্রেসিডেন্ট টিনুবুর সরকার কর্তৃক বাস্তবায়িত সুরক্ষা ব্যবস্থাগুলো কাজ করছে না।’

অ্যামনেস্টির অনুমান, বেনু এবং মালভূমি রাজ্যগুলোতে হামলায় লক্ষ লক্ষ মানুষ বাস্তুচ্যুত হয়েছে।

টিনুবু দুই সপ্তাহ আগে বলেছিলেন, তার ‘প্রশাসন নিরাপত্তাহীনতা মোকাবেলায় প্রতিশ্রুতিবদ্ধ।’