শিরোনাম
ঢাকা, ২৯ মে, ২০২৫ (বাসস): সফররত জার্মান চ্যান্সেলর ফ্রিডরিশ মের্ৎস গাজায় ইসরাইলের সাম্প্রতিক বিমান হামলার ব্যাপকতা ও তীব্রতা নিয়ে গভীর উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন। তিনি বলেন, তথাকথিত সন্ত্রাসবাদবিরোধী অভিযানের নামে চালানো এসব হামলা এখন প্রয়োজনের সীমা ছাড়িয়ে গেছে, বিশেষ করে এসব হামলা যে মারাত্মক মানবিক পরিণতি তৈরি করছে, তা বিবেচনায় নিলে।
হেলসিঙ্কি থেকে এএফপি জানায়, ফিনল্যান্ডের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় শহর তুর্কুতে ফিনিশ প্রধানমন্ত্রী পেত্তেরি অর্পোর সঙ্গে এক যৌথ সংবাদ সম্মেলনে মের্ৎস বলেন, ‘গাজায় ইসরাইলি সেনাবাহিনী যে ব্যাপক সামরিক হামলা চালাচ্ছে, তা এখন আর আমার কাছে কোনো অর্থবোধ করে না। তাদের লক্ষ্য কী? শুধু জিম্মিদের মুক্তির জন্য এটা যথেষ্ট ব্যাখ্যা নয়।’
তিনি আরও বলেন, ‘আমি বলতে বাধ্য হচ্ছি, সেখানে এই মুহূর্তে কী ঘটছে তা আর বোঝা যাচ্ছে না। আমাদের ইসরাইলি সরকারের সঙ্গে সংলাপ আরও জোরদার করতে হবে।’
র্অপো মের্ৎসের উদ্বেগের প্রতি একাত্মতা প্রকাশ করে বলেন, গাজার বেসামরিক মানুষের দুর্ভোগ ‘সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য’। তিনি জোর দিয়ে বলেন, ‘এই কষ্ট দেওয়া, এই হত্যাযজ্ঞ—এটা বন্ধ হতে হবে।’
এই নিয়ে টানা দ্বিতীয় দিন গাজায় ইসরাইলি অভিযান নিয়ে প্রকাশ্যে সমালোচনা করলেন মের্ৎস। সোমবার, জার্মান সম্প্রচারমাধ্যম ডাব্লিউডিআর-এর একটি আয়োজনে তিনি বলেন, ‘সাম্প্রতিক দিনে সাধারণ মানুষের ওপর যেভাবে আঘাত হানা হয়েছে, তা আর হামাসবিরোধী সন্ত্রাস মোকাবেলার নামে বৈধ বলা যায় না।’
ফিনিশ দৈনিক হেল্সিঙ্গিন সানোমাত জানিয়েছে, ইসরাইলের সামরিক কর্মকাণ্ড নিয়ে জার্মানির ঐতিহ্যগত সতর্ক ভাষার তুলনায় মের্ৎসের বক্তব্য একটি স্পষ্ট বিভাজন নির্দেশ করে।
তবে সংবাদ সম্মেলনে প্রশ্ন করা হলে এই ভাষাগত পরিবর্তন নীতিগত পদক্ষেপে কীভাবে প্রতিফলিত হবে, সে বিষয়ে কোনো নির্দিষ্ট পদক্ষেপ জানাতে অস্বীকৃতি জানান মের্ৎস। তবে তিনি জার্মানি ইসরাইলে অস্ত্র রপ্তানি স্থগিত করবে কি না বা কোনো ইসরাইলি কর্মকর্তার বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা বিবেচনায় নেবে কি না তা বলেননি।
তিনি শুধু বলেন, ‘আমরা ইসরাইলের সঙ্গে যোগাযোগ রক্ষা করছি।’ তিনি আরও জানান, এই বিষয়ে জার্মান সরকারের অভ্যন্তরে আলোচনা চলছে।
মের্ৎসের এই মন্তব্য এমন এক সময়ে এসেছে, যখন গাজায় ইসরাইলি সামরিক অভিযানের বিরুদ্ধে বিশ্বব্যাপী উদ্বেগ বাড়ছে এবং জবাবদিহি ও মানবিক সংযমের দাবি জোরালো হচ্ছে।