বাসস
  ২৮ মে ২০২৫, ০৯:৩৯

ইসরাইলের ওপর নিষেধাজ্ঞার দাবিতে স্টারমারকে বিচারক-আইনজীবীর খোলা চিঠি

ঢাকা, ২৮ মে, ২০২৫ (বাসস): ফিলিস্তিনের অবরুদ্ধ গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও গণহত্যার আশঙ্কায় ইসরাইল সরকারের বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি জানিয়েছেন যুক্তরাজ্যের আট শতাধিক বিচারক, আইনজীবী ও বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক। 

গতকাল মঙ্গলবার সংবাদমাধ্যম ‘দ্য গার্ডিয়ান’-এর এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমারের কাছে সোমবার পাঠানো এক খোলা চিঠিতে তারা এই দাবি জানান।

চিঠিতে উল্লেখ করা হয়েছে, গাজায় গণহত্যা সংঘটিত হচ্ছে অথবা তা সংঘটিত হওয়ার গুরুতর ঝুঁকি রয়েছে। একই সঙ্গে সেখানে যুদ্ধাপরাধ, মানবতাবিরোধী অপরাধ এবং আন্তর্জাতিক মানবাধিকার লঙ্ঘনের কথাও বলা হয়েছে।

‘দ্য গার্ডিয়ান-এর উদ্ধৃতি দিয়ে লন্ডন থেকে এএফপি এই খবর জানায়।

চিঠিতে যুক্তরাজ্যের সুপ্রিম কোর্ট ও আপিল আদালতের সাবেক বিচারপতিদের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক আইনের বরেণ্য ব্যক্তিদের সই রয়েছে।
 
চিঠিতে ইসরাইলের অর্থমন্ত্রী বেজালেল স্মোটরিচের সাম্প্রতিক বক্তব্যের উদ্ধৃতি দিয়ে বলা হয়েছে, তিনি গাজার ‘সমগ্র ভূখণ্ড দখলের’, ‘শত্রুমুক্ত করার’ এবং ‘স্থায়ীভাবে থেকে যাওয়ার’ ঘোষণা দিয়েছেন। এই বক্তব্য গাজার ফিলিস্তিনিদের অস্তিত্ব রক্ষায় একটি সরাসরি হুমকি বলেই ব্যাখ্যা করেছেন স্বাক্ষরকারীরা।

চিঠিতে বলা হয়েছে, গাজায় ফিলিস্তিনি জনগণের ধ্বংস ঠেকাতে জরুরি ও দৃঢ় পদক্ষেপ নেয়া আবশ্যক। এই লক্ষ্যে অবিলম্বে, নিঃশর্ত ও স্থায়ী অস্ত্রবিরতি নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়। একই সঙ্গে গাজার মানুষের জন্য জরুরি, নিঃশর্ত ও বাধাহীন মানবিক সহায়তা প্রবাহ শুরু করারও দাবি জানানো হয়।

গত সপ্তাহে যুক্তরাজ্য ইসরাইলের সঙ্গে একটি নতুন বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা স্থগিত করেছে। বিবিসি’র প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, গত ২০ মে যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামি হাউজ অব কমন্সে জানিয়েছেন, তারা ইসরাইলের সঙ্গে একটি নতুন মুক্ত বাণিজ্য চুক্তির আলোচনা স্থগিত করেছেন।

তিনি বলেছেন, ‘আমরা ২০৩০ দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক রোডম্যাপের আওতায় সহযোগিতার বিষয়টি পর্যালোচনা করবো। নেতানিয়াহু সরকারের কর্মকাণ্ডই এই সিদ্ধান্তকে প্রয়োজনীয় করে তুলেছে।’

ডেভিড ল্যামি বলেছেন, ইসরাইলের রাষ্ট্রদূতকে ফরেন অফিসে তলব করে জানানো হয়েছে, গাজায় ত্রাণ দেয়ার ক্ষেত্রে ইসরাইলের অবরোধ ‘সমর্থনযোগ্য নয়’।