বাসস
  ১৪ ডিসেম্বর ২০২৫, ১৩:০২

যুক্তরাষ্ট্রের ডালেস বিমানবন্দরে আগুন, টোকিওগামী ফ্লাইটের জরুরি অবতরণ

১৪ ডিসেম্বর, ২০২৫ (বাসস) : টোকিওগামী ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের বোয়িং ৭৭৭ বিমানের একটি ইঞ্জিন বিকল হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের ডালেস আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে বিমানটি জরুরি অবতরণ করেছে। 

শনিবার বিমানটি উড্ডয়নের সময় রানওয়ের পাশে ঝোপঝাড়ে আগুনও ধরে যায় বলে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানিয়েছেন।

খবর বার্তা সংস্থা এএফপি’র।

তবে, এই ঘটনায় বিমানটিতে থাকা ২৭৫ জন যাত্রী ও ১৫ জন ক্রু সদস্যের কেউ হতাহত হননি। 

প্রশস্ত কাঠামোর এই বিমানটির একটি ইঞ্জিন বিকল হয়ে পরার পর, জরুরি অবতরণের আগে বিমানটি থেকে জ্বালানি ফেলে দিতে হয়।

ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এক বিবৃতিতে জানায়, ‘উড্ডয়নের কিছুক্ষণ পরই ইউনাইটেড-এর ফ্লাইট ৮০৩-এর একটি ইঞ্জিন আকস্মিক বিকল হয়ে পড়ায় ওয়াশিংটন ডালেস বিমানবন্দরে ফিরে আসে এবং সেখানে বিমানটি নিরাপদে অবতরণ করে।’

এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, যাত্রীদের জন্য শনিবারই পরবর্তী সময়ে টোকিওর হানেদা বিমানবন্দরের উদ্দেশে আরেকটি ফ্লাইটের ব্যবস্থা করা হচ্ছে।

এএফপির কাছে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একটি সূত্র জানায়, বোয়িং ৭৭৭ ২০০ইআর বিমানটি স্থানীয় সময় শনিবার দুপুর ১২টা ২০ মিনিটের দিকে হানেদা বিমানবন্দরের উদ্দেশে ডালেস থেকে উড্ডয়ন করার সময় এই ইঞ্জিন বিকলের ঘটনা ঘটে।

ডালেস বিমানবন্দরের একজন মুখপাত্র বলেন, ‘উড্ডয়নের সময় ইউনাইটেডের ৮০৩ ফ্লাইটটির রানওয়ের পাশের কিছু ঝোপঝাড়ে আগুন ধরিয়ে দেয়। তবে আগুন দ্রুত নিভিয়ে ফেলা হয় এবং ফ্লাইটটি দুপুর প্রায় ১টা ৩০ মিনিটে ডালেসে ফিরে নিরাপদে অবতরণ করে। এরপর বিমানবন্দরের অগ্নিনির্বাপণ কর্মীরা উড়োজাহাজটি পরীক্ষা করেন।’

তিনি আরও জানান, ওই ঘটনার কারণে সংশ্লিষ্ট রানওয়েটি স্বল্প সময়ের জন্য বন্ধ রাখা হয়েছিল। তবে ডালেস বিমানবন্দরে একাধিক রানওয়ে থাকায় অন্য ফ্লাইট পরিচালনায় এর কোনো প্রভাব পড়েনি।

যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল এভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (এফএএ) জানিয়েছে, উড্ডয়নের সময় ইঞ্জিন বিকল হওয়ায় বিমানটিকে ডালেসে ফিরে আসতে হয়। 

সংস্থাটি ঘটনাটি তদন্ত করবে বলে জানিয়েছে।

এদিকে ন্যাশনাল ট্রান্সপোর্টেশন সেফটি বোর্ড (এনটিএসবি) এএফপিকে জানিয়েছে, তারা ঘটনার বিষয়ে তথ্য সংগ্রহ করছে।

উড়োজাহাজ নির্মাতা প্রতিষ্ঠান বোয়িং এ বিষয়ে ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের কাছে জবাব পাঠিয়েছে।

বিমানটিতে দুটি জেনারেল ইলেকট্রিক ইঞ্জিন সংযোজিত রয়েছে, যা বর্তমানে জিই অ্যারোস্পেস নামে পরিচিত।