বাসস
  ২৭ মে ২০২৫, ১৩:২০

দক্ষিণ কোরিয়ার দুই সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা: ইয়োনহাপ

ঢাকা, ২৭ মে ২০২৫ (বাসস) : সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওলের বিরুদ্ধে সামরিক শাসন ঘোষণার চেষ্টার ঘটনায় তদন্তের অংশ হিসেবে দক্ষিণ কোরিয়া সরকার দেশটির দুই সাবেক ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্টের ওপর বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা জারি করেছে। দেশটির রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ইয়োনহাপ মঙ্গলবার এ তথ্য জানায়।

সিউল থেকে এএফপি জানায়, ২৭ মে পুলিশের বরাতে ইয়োনহাপ জানায়, সাবেক প্রধানমন্ত্রী হান ডাক-সু এবং সাবেক অর্থমন্ত্রী চোই সাং-মক-এ দুজনকে ‘বিদ্রোহমূলক তৎপরতার’ সন্দেহভাজন হিসেবে দেশত্যাগে নিষেধাজ্ঞা দেওয়া হয়েছে। মে মাসের মাঝামাঝি সময় থেকে এই নিষেধাজ্ঞা কার্যকর হয়েছে।

গত মাসে পার্লামেন্টে অভিশংসনের মাধ্যমে ইউন সুক ইওলকে আনুষ্ঠানিকভাবে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়। গত ৩ ডিসেম্বর তিনি বেসামরিক শাসন ভেঙে সামরিক শাসন জারির চেষ্টা করেন এবং সে সময় সংসদ ভবনে সশস্ত্র সেনা সদস্যদের মোতায়েন করেন। বর্তমানে তার বিরুদ্ধে বিদ্রোহের অভিযোগে বিচার চলছে।

অভিযোগ প্রমাণিত হলে ইউন হবেন ‘বিদ্রোহমূলক অপরাধে’ দোষী সাব্যস্ত দক্ষিণ কোরিয়ার তৃতীয় রাষ্ট্রপ্রধান। এর আগে ১৯৭৯ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের ঘটনায় দুই সাবেক সামরিক নেতা একই ধরনের অপরাধে দণ্ডিত হয়েছিলেন।

বিদ্রোহমূলক অপরাধে দক্ষিণ কোরিয়ার আইনে সর্বোচ্চ সাজা মৃত্যুদণ্ড, আর সর্বনিম্ন সাজা আজীবন কারাদণ্ড।

এদিকে আগামী সপ্তাহে দেশটিতে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। সামরিক শাসন ঘিরে কয়েক মাস ধরে চলা রাজনৈতিক অস্থিরতার পর এই নির্বাচন ইউন সুক ইওলের উত্তরসূরি নির্ধারণ করবে।

সংশ্লিষ্ট দুই সাবেক কর্মকর্তা—বিশেষ করে হান ডাক-সু—কে ক্ষমতাসীন পিপল পাওয়ার পার্টি (পিপিপি)’র পক্ষ থেকে ইউনের বিকল্প প্রেসিডেন্ট পদপ্রার্থী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছিল। তবে এই মাসের শুরুতে হানকে মনোনয়ন দেওয়ার জন্য সাবেক শ্রমমন্ত্রী কিম মুন-সু-এর প্রার্থিতা বাতিল করতে গিয়ে দলটি সমালোচনার মুখে পড়ে এবং সিদ্ধান্ত থেকে সরে আসে।

রাজনৈতিক উত্তেজনা ও বিচারিক ঝুঁকির মাঝেই এখন নজর নির্বাচনের দিকে।