শিরোনাম
ঢাকা, ২৫ মে ২০২৫ (বাসস) : গাজায় চলমান ‘বর্বরতার’ নিন্দা জানিয়ে মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী রবিবার বলেন, ফিলিস্তিনি জনগণের দুর্ভোগের প্রতি আন্তর্জাতিক উদাসীনতা ও ‘দ্বিচারিতা’রই প্রতিফলন এটি।
কুয়ালালামপুর থেকে এএফপি জানায়, মালয়েশিয়ার পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোহাম্মদ হাসান আসিয়ানের সদস্য রাষ্ট্রগুলোর পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের উদ্দেশে বলেন, ‘এগুলো (গাজায় বর্বরতা) আন্তর্জাতিক আইনের পবিত্রতা লঙ্ঘনের প্রত্যক্ষ ফল।’
সোমবার কুয়ালালামপুরে শুরু হতে যাওয়া আসিয়ান শীর্ষ সম্মেলনের প্রাক্কালে মোহাম্মদ হাসান এ বক্তব্য দেন। এমন সময় এই মন্তব্য এল, যখন ইসরাইল যুদ্ধবিধ্বস্ত গাজায় চলতি মাসে আরও তীব্র অভিযান শুরু করেছে।
গত ২ মার্চ আরোপিত পূর্ণ অবরোধ কিছুটা শিথিল করলেও, অঞ্চলটিতে মানবিক সহায়তা প্রবেশের আহ্বানের পাশাপাশি আন্তর্জাতিক মহলের তীব্র সমালোচনার মুখে পড়েছে ইসরাইল।
মোহাম্মদ হাসান বলেন, ‘ফিলিস্তিনি জনগণের বিরুদ্ধে সংঘটিত বর্বরতা আন্তর্জাতিক উদাসীনতা ও দ্বিচারিতার প্রতিফলন।’
তিনি বলেন, ‘আসিয়ান চুপ থাকতে পারে না।’ উল্লেখ্য, মালয়েশিয়া বর্তমানে আসিয়ানের সভাপতির দায়িত্ব পালন করছে।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে আসিয়ানের দশ সদস্য রাষ্ট্রই ফিলিস্তিনিদের অধিকারের প্রতি তাদের ‘দীর্ঘদিনের সমর্থন’ পুনর্ব্যক্ত করেছিল।
মুসলিম-সংখ্যাগরিষ্ঠ মালয়েশিয়ার ইসরাইলের সঙ্গে কোনো কূটনৈতিক সম্পর্ক নেই এবং দেশটির অনেক নাগরিক ফিলিস্তিনিদের সমর্থন করে।
২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরুর পর থেকে কুয়ালালামপুর গাজায় ফিলিস্তিনিদের জন্য ১ কোটি মার্কিন ডলারের বেশি অর্থ সহায়তা ও মানবিক ত্রাণ পাঠিয়েছে।
এই যুদ্ধের সূচনা করে ফিলিস্তিনি প্রতিরোধ সংগঠন হামাস, যারা ইসরাইলে একটি হামলা চালায়। সরকারি হিসাবের ভিত্তিতে এএফপির সংকলিত তথ্যানুযায়ী, ওই হামলায় ১,২১৮ জন নিহত হয়, যাদের বেশিরভাগই ছিল বেসামরিক।
সেই হামলায় ২৫১ জনকে জিম্মি করে নিয়ে যাওয়া হয়, যাদের মধ্যে এখনো ৫৭ জন গাজায় অবস্থান করছেন। ইসরাইলি সেনাবাহিনী বলছে, এদের মধ্যে ৩৪ জন ইতোমধ্যেই নিহত হয়েছেন।
গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, শনিবার পর্যন্ত চলমান যুদ্ধে গাজায় ৫৩,৯০১ জন নিহত হয়েছে, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাাগরিক।