শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫ (বাসস) : ইউক্রেন শুক্রবার জানায়, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার পূর্ণমাত্রার আগ্রাসনের পর থেকে রুশ সেনারা ২৬৮ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দিকে হত্যা করেছে—এমন অভিযোগে তারা তদন্ত শুরু করেছে।
কিয়েভ থেকে এএফপি জানায়, ইউক্রেন দীর্ঘদিন ধরে অভিযোগ করে আসছে, রুশ বাহিনী আহত কিংবা আত্মসমর্পণ করা সৈনিকদেরও হত্যা করছে। কিয়েভ বারবার আন্তর্জাতিক ট্রাইব্যুনালের দাবি জানিয়ে এসেছে, যাতে রুশ নেতৃত্ব ও সামরিক কমান্ডারদের যুদ্ধাপরাধের জন্য বিচারের আওতায় আনা যায়।
চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে জাতিসংঘের একটি মিশন জানায়, ২০২৪ সালের আগস্টের শেষ দিক থেকে ইউক্রেনীয় বন্দিদের নির্বিচার হত্যার ঘটনা উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে। জাতিসংঘ মিশন ৭৯টি হত্যাকাণ্ড নথিভুক্ত করেছে।
ইউক্রেনের প্রসিকিউটর জেনারেলের কার্যালয় এক বিবৃতিতে জানায়, ‘পূর্ণমাত্রার আগ্রাসন শুরুর পর থেকে রুশ সেনাদের হাতে ২৬৮ জন ইউক্রেনীয় যুদ্ধবন্দি নিহত হওয়ার ঘটনায় আমরা ৭৫টি ফৌজদারি মামলা রুজু করেছি।’
এদের মধ্যে ২০২২ সালের ঘটনা ৫৭টি, ২০২৩ সালের ১১টি, ২০২৪ সালের ১৪৯টি এবং ২০২৫ সালের শুরু থেকে এখন পর্যন্ত ৫১টি ঘটনা রয়েছে বলে জানানো হয়।
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘এই হত্যাকাণ্ডের সংখ্যা বৃদ্ধির পেছনে রাশিয়ার রাজনৈতিক ও সামরিক শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশনা রয়েছে।’
অনলাইনে ছড়িয়ে পড়া বেশ কয়েকটি ভিডিওতে দেখা গেছে, বন্দি ইউক্রেনীয় সেনাদেরকে যুদ্ধক্ষেত্রে, কখনো খুব কাছ থেকে গুলি করে হত্যা করা হচ্ছে।
ক্রেমলিন এ ধরনের অভিযোগ অস্বীকার করেছে। তারা বরং পাল্টা অভিযোগ করেছে, ইউক্রেনই রুশ যুদ্ধবন্দিদের হত্যা করছে।
জাতিসংঘ বলেছে, তিন বছর ধরে চলা যুদ্ধে উভয় পক্ষের বন্দিরাই ‘‘নির্যাতন ও অমানবিক আচরণের’’ শিকার হয়েছে।