শিরোনাম
ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫ (বাসস) : সিরিয়ার ওপর থেকে দীর্ঘদিনের অর্থনৈতিক নিষেধাজ্ঞা শুক্রবার আনুষ্ঠানিকভাবে প্রত্যাহার করে নেয় যুক্তরাষ্ট্র। ট্রাম্প প্রশাসনের এ সিদ্ধান্তকে ‘ইতিবাচক পদক্ষেপ’ হিসেবে দেখছে দামেস্ক সরকার। তাদের দাবি, এটি যুদ্ধ-পরবর্তী পুনর্গঠনে সহায়ক হবে।
সিরিয়ার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এক বিবৃতিতে জানায়, “যুক্তরাষ্ট্র সরকারের দীর্ঘদিন ধরে আরোপিত নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সিদ্ধান্তকে তারা স্বাগত জানাচ্ছে। কারণ, এটি সাধারণ জনগণের ওপর চাপ সৃষ্টি করেছিল।”
দামেস্ক থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।
গত ডিসেম্বরে প্রেসিডেন্ট বাশার আল-আসাদের পতনের পর শুক্রবার যুক্তরাষ্ট্র এই বড় ধরনের নীতিগত পরিবর্তনকে আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর করেছে। মার্কিন নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের ফলে দেশটিতে পুনর্গঠন ও বিনিয়োগের পথ খুলে গেল।
সিরীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আরো বলেছে, “এই সিদ্ধান্তকে আমরা ইতিবাচক পদক্ষেপ হিসেবে দেখি, যা সিরিয়ার মানবিক ও অর্থনৈতিক দুর্ভোগ কমাতে সহায়ক হবে।”
এর আগে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প চলতি মাসের শুরুতে সৌদি আরব সফরের সময় এই সিদ্ধান্তের ঘোষণা দিয়েছিলেন। শুক্রবার থেকে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে কার্যকর হবে।
মার্কিন অর্থ মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সময় সিরিয়ার নতুন সরকারের ওপর কিছু শর্ত সাপেক্ষে প্রযোজ্য হবে। এর মধ্যে রয়েছে, দেশটিকে কোনো সন্ত্রাসী সংগঠনের জন্য আশ্রয়স্থল না বানানো এবং ধর্মীয় ও জাতিগত সংখ্যালঘুদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করা।
যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও বলেন, এই ছাড় “সিরিয়াজুড়ে বিদ্যুৎ, জ্বালানি, পানি ও পয়ঃনিষ্কাশন সুবিধা নিশ্চিত করতে এবং মানবিক সহায়তা কার্যক্রম আরো কার্যকর করতে সহায়তা করবে।”
এর আওতায় সিরিয়ায় নতুন বিনিয়োগ, আর্থিক লেনদেন এবং দেশটির পেট্রোলিয়াম পণ্যের সঙ্গে যুক্ত লেনদেনের অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
রুবিও বলেন, “নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের পদক্ষেপ দু’দেশের মধ্যে নতুন সম্পর্ক গড়ার পথে প্রেসিডেন্ট ট্রাস্পের দৃষ্টিভঙ্গির প্রথম ধাপ।”
১৪ বছর ধরে চলা গৃহযুদ্ধে সিরিয়ার ওপর ব্যাপক নিষেধাজ্ঞা আরোপ করে যুক্তরাষ্ট্র। এমনকি আসাদ ক্ষমতায় থাকা পর্যন্ত যে কেউ সিরিয়ার পুনর্গঠনে জড়িত হলে তাদের বিরুদ্ধেও শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হতো।
আসাদ সরকার পতনের পর ইসলামপন্থী বিদ্রোহীদের দ্বারা গঠিত হয় সিরিয়ার বর্তমান সরকার। যদিও এই বিদ্রোহীদের অনেকে অতীতে জঙ্গি সংগঠন আল-কায়েদার সঙ্গে যুক্ত ছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। এখন তারা পশ্চিমা দেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলতে এবং নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।