বাসস
  ২৪ মে ২০২৫, ১৩:২৬

কানাডা সফরে মার্কিন সিনেটর প্রতিনিধি দল, সম্পর্ক মেরামতের আশাবাদ

ঢাকা, ২৪ মে, ২০২৫ (বাসস) : কানাডার প্রধানমন্ত্রী মার্ক কারনির সঙ্গে শুক্রবার বৈঠকের পর দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক মেরামত, নতুন বাণিজ্য ও নিরাপত্তা চুক্তি নিয়ে আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন যুক্তরাষ্ট্রের একদল সিনেটর। 

অটোয়া থেকে এএফপি এ খবর জানিয়েছে।

উত্তর ডাকোটার রিপাবলিকান সিনেটর কেভিন ক্রামার বলেন, “বৈঠকে আমরা যা শুনেছি তাতে উৎসাহ পেয়েছি। মনে হচ্ছে ভবিষ্যতে একসঙ্গে ভালোভাবে কাজ করতে পারব।”

কানাডা সফররত প্রতিনিধি দলে আরও ছিলেন ডেমোক্র্যাট সিনেটর জিন শাহিন, অ্যামি ক্লোবুশার, টিম কেইন ও পিটার ওয়েলচ। তারা সবাই কানাডা-সীমান্তঘেঁষা অঙ্গরাজ্যগুলো থেকে নির্বাচিত। দেশটির প্রতিরক্ষা, শিল্প ও পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রীদের সঙ্গেও বৈঠক করেন মার্কিন সিনেটররা।

সিনেটর শাহিন বলেন, “সম্প্রতি আমাদের সম্পর্কের মধ্যে কিছু সমস্যা দেখা দিয়েছে। আশা করি, এই আলোচনা সম্পর্ক মেরামতের ক্ষেত্রে ইতিবাচক ভূমিকা রাখবে।”

সম্প্রতি ম্প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প কানাডার গাড়ি, স্টিল এবং অ্যালুমিনিয়ামের ওপর শাস্তিমূলক শুল্ক আরোপ করলে দুদেশের  সম্পর্কে টানাপড়েন সৃষ্টি হয়। এ ছাড়া কৌতুকের ছলে কানাডাকে ৫১তম অঙ্গরাজ্য বানানোর কথাও বলেন ট্রাম্প, যা কানাডার জনগণের মধ্যে ব্যাপক ক্ষোভের সৃষ্টি করে।

মোট রপ্তানির প্রায় তিন-চতুর্থাংশই যুক্তরাষ্ট্রে করে কানাডা। ফলে, এই শুল্কারোপ এবং বির্তকিত মন্তব্যের কারণে বহু কানাডীয় নাগরিক মার্কিন পণ্য ও ভ্রমণ বর্জন করতে শুরু করেন।

পরে যুক্তরাষ্ট্র কিছু শুল্ক স্থগিত করে এবং কানাডাও পাল্টা ব্যবস্থা ছয় মাসের জন্য বন্ধ রাখার ঘোষণা দেয়। তবে সর্বশেষ শ্রমবাজার প্রতিবেদনে দেখা যায়, এই শুল্ক কানাডার অর্থনীতিতে নেতিবাচক প্রভাব ফেলতে শুরু করেছে এবং বাজারেও অস্থিরতা সৃষ্টি করেছে।

তবে যুক্তরাষ্ট্রের কানাডা সীমান্তবর্তী অঙ্গরাজ্যগুলোর জনগণও এই টানাপড়েনের নেতিবাচক ফল ভোগ করছে বলে দাবি মার্কিন সিনেটরদের।

সিনেটর ক্লোবুশার বলেন, “প্রতিদিনই এই সমস্যার প্রভাব টের পাচ্ছি। কিন্তু আমরা চাই সম্পর্ক ভালো হোক, এ কারণেই এখানে এসেছি।”

তিনি আরো বলেন, “যদি একসঙ্গে থাকি, তাহলে উভয় দেশেরই অর্থনৈতিক উন্নয়ণের বিশাল সুযোগ আছে।”

সিনেটর ক্রামার বলেন, এখন দুদেশের উচিত চীনের মতো বড় হুমকির বিরুদ্ধে একসঙ্গে কাজ করা। “এটাই আমাদের এক হওয়ার বড় সুযোগ। আমাদের যৌথভাবে কাজ করার অনেক সুযোগ আছে।” 

তার মত, উভয় দেশেরই পরিপূরক কিছু বিশেষ সম্পদ রয়েছ। যেমন, কানাডায় গুরুত্বপূর্ণ খনিজ পটাশ আছে, যা আমাদের নেই।

এই আলোচনার মাধ্যমে দুই প্রতিবেশি দেশের  সম্পর্ক আরো জোরদার হবে বলে আশা করছেন কানাডা সফর করা মার্কিন সিনেটররা।