শিরোনাম
ঢাকা, ২২ মে, ২০২৫ (বাসস): কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক গড়ে তুলতে চীন আগামী সপ্তাহে ওই অঞ্চলের নেতাদের আতিথেয়তা দেবে। বুধবার বেইজিংয়ের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ ঘোষণা দিয়েছে।
চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বরাতে বেইজিং থেকে এএফপি জানায়, চীনের পূর্বাঞ্চলীয় শহর শিয়ামেনে আগামী বুধবার ও বৃহস্পতিবার আয়োজিত ওই বৈঠকে প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চলের ১১টি দেশের নেতারা ও কূটনীতিকেরা অংশ নেবেন। অংশগ্রহণকারী দেশগুলোর মধ্যে রয়েছে কিরিবাতি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ, পাপুয়া নিউগিনি ও ফিজি।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং বলেন, দেশগুলো ‘চীন ও প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশগুলোর মধ্যকার সামগ্রিক বিনিময় ও সহযোগিতা এবং অভিন্ন আগ্রহের আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক বিষয়’ নিয়ে আলোচনা করবে।
তিনি আরও বলেন, চীন ‘প্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপদেশগুলোর সঙ্গে সম্পর্ককে অত্যন্ত গুরুত্ব দেয়’ এবং ‘ভবিষ্যতের ভাগাভাগি করা একটি ঘনিষ্ঠ চীনুপ্রশান্ত মহাসাগরীয় দ্বীপসম্প্রদায় গড়ে তোলার’ প্রত্যাশা করে।
কৌশলগতভাবে গুরুত্বপূর্ণ এই অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্র ও তার মিত্র অস্ট্রেলিয়ার দীর্ঘদিনের প্রভাবকে চ্যালেঞ্জ জানাতে চীন সম্প্রতি সম্পর্ক দৃঢ় করার প্রচেষ্টা জোরদার করেছে।
সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও ভানুয়াতুর মতো প্রশান্ত মহাসাগরীয় দেশগুলোতে স্টেডিয়াম, সরকারি কার্যালয়, হাসপাতাল ও সড়ক নির্মাণে চীন কয়েক শ মিলিয়ন মার্কিন ডলার ব্যয় করেছে।
চীনের এই কূটনৈতিক আকর্ষণ কৌশল ইতোমধ্যে ফলও দিতে শুরু করেছে।
গত কয়েক বছরে কিরিবাতি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ ও নাউরু তাইওয়ানের সঙ্গে দীর্ঘদিনের কূটনৈতিক সম্পর্ক ছিন্ন করে চীনের সঙ্গে সম্পর্ক স্থাপন করেছে।
এই অঞ্চলে সলোমন দ্বীপপুঞ্জকে চীনের ঘনিষ্ঠ মিত্র হিসেবে দেখা হয়।
২০২২ সালে দেশটি বেইজিংয়ের সঙ্গে একটি গোপনীয় নিরাপত্তা চুক্তি স্বাক্ষর করে, যা নিয়ে আশঙ্কা তৈরি হয় যে, চীন একদিন ওই দ্বীপপুঞ্জকে সামরিক উপস্থিতি বিস্তারের জন্য ব্যবহার করতে পারে।