বাসস
  ২১ মে ২০২৫, ১২:৫৫

আদালতের আদেশ সত্ত্বেও অভিবাসীদের দক্ষিণ সুদানে নির্বাসিত করছে আমেরিকা

ঢাকা, ২১ মে, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন অভিবাসন কর্মকর্তারা প্রায় ১২ জন দক্ষিণ এশীয় অভিবাসীকে দক্ষিণ সুদানে নির্বাসন শুরু করেছেন। মঙ্গলবার আদালতের দায়ের করা নথি এবং মিডিয়া রিপোর্ট অনুসারে এ তথ্য জানা গেছে।

বোস্টন থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

অভিবাসন আইনজীবীরা এক আটক কর্মকর্তার ইমেল থেকে জানতে পেরেছেন, ‘এন. এম.’ নামে পরিচিত এক বার্মিজ নাগরিককে ‘দক্ষিণ সুদানে সরিয়ে নেওয়া হয়েছে।’  

দ্বিতীয় অভিবাসী ভিয়েতনামের নাগরিক, যিনি ফাইলিংয়ে টি.টি.পি. হিসেবে চিহ্নিত, ‘অন্তত আরো ১০ জনের সাথে একই পরিণতি ভোগ করেছেন বলে মনে হচ্ছে’।

আইনজীবীরা বলেছেন, অপসারণ পূর্ববর্তী আদেশের লঙ্ঘন, উল্লেখ করে তারা সর্বশেষ গত ৭ মে একটি জরুরি প্রস্তাব দাখিল করেছিলেন, যখন মিডিয়া রিপোর্টে ইঙ্গিত দেওয়া হয়েছিল অভিবাসন কর্মকর্তারা এন.এম. এবং অন্যান্যদের লিবিয়া এবং সৌদি আরবে নির্বাসন দিতে চাইছেন।

ফাইলিংয়ে বলা হয়েছে, আদালত বাদীদের পক্ষে রায় দিয়েছে এবং ‘তিন বা চার ঘন্টা ঘাঁটির টারম্যাকে বসে থাকার পর অবশেষে পুরুষদের একটি অভিবাসন আটক কেন্দ্রে ফিরিয়ে আনা হয়েছে।’

ফাইলিংয়ে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, দক্ষিণ সুদানে একটি ত্রুটিপূর্ণ শান্তি চুক্তি এই সপ্তাহে ভেঙে গেছে এবং এন.এম.কে ‘এমন একটি দেশে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে যা এখন পূর্ণাঙ্গ এবং বিপর্যয়কর গৃহযুদ্ধের দিকে ফিরে যাচ্ছে।’

হোমল্যান্ড সিকিউরিটি বিভাগ তাৎক্ষণিকভাবে মন্তব্যের অনুরোধের জবাব দেয়নি।

এপ্রিলের গোড়ার দিকে, ট্রাম্প প্রশাসন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের ক্রমবর্ধমান অভিবাসন বিরোধী প্ল্যাটফর্মের অংশ হিসাবে দক্ষিণ সুদানের নাগরিকদের জন্য ভিসা নিষিদ্ধ করে।

রিপাবলিকান প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেছেন, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ‘বিদেশী অপরাধীদের’ ‘আক্রমণের’ মুখোমুখি।

গত ফেব্রুয়ারিতে, ট্রাম্প যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগ করে প্রায় ২শ’ ৫০ জন ভেনেজুয়েলা অভিবাসীকে কোনও আদালতের শুনানি ছাড়াই এল সালভাদরে পাঠানো হয়। তাদের বিরুদ্বে অভিযোগ করেন  তারা ট্রেন ডি আরাগুয়া গ্যাংয়ের সদস্য। এ অভিযোগ তাদের পরিবার এবং আইনজীবীরা অস্বীকার করেছেন।