বাসস
  ১৯ মে ২০২৫, ১২:৩৬

সংখ্যাগরিষ্ঠতা না পেলেও পর্তুগালের নির্বাচনে জয়ী ক্ষমতাসীন দল এডি

ঢাকা, ১৯ মে, ২০২৫ (বাসস): পর্তুগালে অনুষ্ঠিত তৃতীয় সাধারণ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন মধ্য-ডানপন্থী দল এডি সর্বাধিক আসনে জয় পেলেও সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জনে ব্যর্থ হয়েছে। একইসঙ্গে চরম ডানপন্থী দল চেগার (এনাফ) উল্লেখযোগ্য উত্থান দেশটির রাজনৈতিক অস্থিরতা দীর্ঘায়িত করতে পারে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

প্রায় পূর্ণাঙ্গ সরকারি ফলাফলে দেখা যায়, রোববারের নির্বাচনে প্রধানমন্ত্রী লুইস মন্টেনেগ্রোর নেতৃত্বাধীন ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এডি) পেয়েছে ৩২.৭ শতাংশ ভোট। এতে তাদের আসন সংখ্যা দাঁড়াবে ৮৯-এ।

কিন্তু ২৩০ আসনের সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজনীয় ১১৬ আসনের চেয়ে এই সংখ্যা অনেক কম।

ফল ঘোষণার পর সমর্থকদের উদ্দেশ্যে প্রধানমন্ত্রী মন্টেনেগ্রো বলেন, “মানুষ এই সরকার এবং এই প্রধানমন্ত্রীকেই চায়।” 

সোশ্যালিস্ট পার্টি (পিএস) পেয়েছে ২৩.৪ শতাংশ ভোট, যা দলটির সাম্প্রতিক ইতিহাসে সবচেয়ে খারাপ ফল। এর কাছাকাছি ২২.৬ শতাংশ ভোট পেয়েছে চেগা। দল দুটির প্রত্যেকে ৫৮টি আসন পাবে বলে ধারণা করা হচ্ছে।

এমন পরিস্থিতিতে, নতুন ও ব্যবসাবান্ধব দল লিবারেল ইনিশিয়েটিভ (আইএল) নির্বাচনে ৯টি আসন পেলেও, তাদের সমর্থন নিয়ে ডেমোক্র্যাটিক অ্যালায়েন্স (এডি) সংসদে আইন পাস করতে চাইলে চরম ডানপন্থী দল চেগার সহায়তা প্রয়োজন হবে।

যদিও ৫২ বছর বয়সী মন্টেনেগ্রো স্পষ্ট করে জানিয়ে দিয়েছেন, তিনি চেগার সঙ্গে কোনো ধরনের জোটে যাবেন না, কারণ দলটি “বিশ্বাসযোগ্য নয়” এবং “সরকার চালানোর উপযোগী নয়।”

এদিকে, লিসবন বিশ্ববিদ্যালয়ের রাজনৈতিক বিশ্লেষক মারিনা কোস্টা লোবো বলেন, “এই ফলাফলের পর দেশ পরিচালনায় স্থিতিশীলতা বাড়বে কিনা তা পরিষ্কার নয়।”

তিনি চেগাকে অভিহিত করেন “রাতের সবচেয়ে বড় বিজয়ী” হিসেবে।

প্রতিষ্ঠার বছরেই (২০১৯) তারা সাধারণ নির্বাচনে ১.৩ শতাংশ ভোট পেয়ে একটি আসন লাভ করে। এটি ছিল ১৯৭৪ সালের সামরিক অভ্যুত্থানের পর প্রথমবারের মতো কোনো চরম ডানপন্থী দলের সংসদে প্রবেশ।

২০২২ সালের নির্বাচনে চেগা সংসদে তৃতীয় বৃহত্তম শক্তি হয়ে ওঠে এবং গত বছর তাদের আসন সংখ্যা চারগুণ বেড়ে দাঁড়ায় ৫০-এ।

চলতি নির্বাচনে বিদেশে বসবাসরত পর্তুগিজদের জন্য বরাদ্দ ৪টি আসনের ফলাফল এখনো ঘোষণা হয়নি।

ভেনচুরা আশা করছেন, এই আসনগুলো পেলে তার দল প্রথমবারের মতো সোশ্যালিস্ট পার্টিকে পেছনে ফেলে দ্বিতীয় বৃহত্তম দল হয়ে উঠবে।

চলতি বছরের মার্চে প্রধানমন্ত্রী মন্টেনেগ্রো সংসদে আস্থাভোটে পরাজিত হওয়ার পর এই নির্বাচনের ডাক দেন। 

এর আগের নির্বাচনে জিতে একটি সংখ্যালঘু সরকার গঠন করেছিল তার দল এডি। 

অন্যদিকে, পিএস নেতা ও অর্থনীতিবিদ পেদ্রো নুনো সান্তোস, অভিযোগ করে বলেন, মন্টেনেগ্রো ইচ্ছাকৃতভাবে নির্বাচন ডেকে সংসদীয় তদন্ত এড়িয়ে যেতে চেয়েছেন।

ফলাফল ঘোষণার পর তিনি আরো বলেন, দলের মধ্যে নতুন নেতৃত্ব নির্বাচনের জন্য অভ্যন্তরীণ নির্বাচন আয়োজন করবেন।