শিরোনাম
ঢাকা, ১৪ মে, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ সুদানে উগান্ডার সেনা মোতায়েনের ঘটনায় কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছে মানবাধিকার সংস্থা অ্যামনেস্টি ইন্টারন্যাশনাল। এর মাধ্যমে জাতিসংঘ আরোপিত অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা লঙ্ঘন করা হয়েছে বলে অভিযোগ করেছে সংস্থাটি।
বুধবার এক বিবৃতিতে জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এই নিষেধাজ্ঞা নবায়ন ও কার্যকর প্রয়োগের আহ্বান জানায় অ্যমনেস্টি।
২০১৮ সালে শান্তিচুক্তির মাধ্যমে দক্ষিণ সুদানের পাঁচ বছরের গৃহযুদ্ধ শেষ হয়। তবে তারপর থেকেই দেশটিতে অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা বহাল রয়েছে, যা আগামী ৩১ মে মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা।
তবে অ্যামনেস্টি জানিয়েছে, ১৭ মার্চ রাজধানী জুবায় সেনা পৌঁছানোসহ সাঁজোয়া যান ও ট্যাংকবাহী সামরিক ট্রাক প্রবেশের যে ভিডিও পাওয়া গেছে, সেগুলো তারা যাচাই করেছে। সংস্থাটির দাবি এটি জাতিসংঘের অস্ত্র নিষেধাজ্ঞার শর্ত ভঙ্গ করেছে।
প্রেসিডেন্ট সালভা কির ও ভাইস প্রেসিডেন্ট রিয়েক মাশারের মধ্যে পুরনো বিরোধ ফের সহিংসতায় রূপ নিচ্ছে। এর জেরে চলতি বছরের শুরুতে আপার নাইল রাজ্যে নতুন করে সংঘর্ষ শুরু হয়। উগান্ডার পার্লামেন্ট তখন জানায়, প্রেসিডেন্ট কিরের অনুরোধে 'সম্ভাব্য নিরাপত্তা সংকট' প্রতিহত করতে তারা উগান্ডা পিপল’স ডিফেন্স ফোর্স (ইউপিডিএফ) পাঠিয়েছে।
তবে অ্যামনেস্টি বলছে, জাতিসংঘ নিরাপত্তা পরিষদকে এ বিষয়ে কোনো পক্ষই আনুষ্ঠানিকভাবে জানায়নি। সংস্থাটির পূর্ব ও দক্ষিণ আফ্রিকা বিষয়ক আঞ্চলিক পরিচালক টাইগার চাগুটা বলেন, “অস্ত্র নিষেধাজ্ঞা সব সমস্যার সমাধান নয়, তবে এটি না থাকলে পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতো। এখনই নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের সময় হয়নি বরং তা কার্যকর করে বেসামরিক মানুষের জীবন রক্ষা করতে হবে।”
অ্যামনেস্টি আরও জানায়, দক্ষিণ সুদান পিপলস ডিফেন্স ফোর্সের হেলিকপ্টার হামলার প্রমাণ আছে, যা ইঙ্গিত দেয় নিষিদ্ধ স্পেয়ার পার্টস তাদের হাতে পৌঁছেছে। কারণ, ২০২০ সালে এসব হেলিকপ্টার অকেজো অবস্থায় ছিল।
এছাড়া চিকিৎসা সেবা সংস্থা ডক্টরস উইদাউট বর্ডারস (এমএসএফ) জানিয়েছে, মে মাসে এক হেলিকপ্টার হামলায়
তাদের একটি হাসপাতালে সাতজন নিহত হয়।
যদিও এ বিষয়ে উগান্ডা সেনাবাহিনীর কোন বক্তব্য পাওয়া যায়নি।