শিরোনাম
ঢাকা, ১২ মে, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ কোরিয়ার সাবেক প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল সোমবার তার ফৌজদারি বিচারের আরেকটি মামলার শুনানির জন্য আদালতে হাজির হয়েছেন।
সিউল থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
গত ৩ ডিসেম্বর বেসামরিক শাসন ভেঙে ফেলার প্রচেষ্টার জন্য আইন প্রণেতা কর্তৃক অভিশংসন ও বরখাস্ত করা হয়। যার ফলে সংসদে সশস্ত্র সেনা মোতায়েন করা হয়েছিল।
গত মাসে ইউনকে আনুষ্ঠানিকভাবে পদ থেকে বরখাস্ত করা হয়েছিল।
তিনি দক্ষিণ কোরিয়ার প্রথম ক্ষমতাসীন প্রেসিডেন্ট যিনি জানুয়ারিতে তার বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলার সাথে জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার হন। যদিও পরে তাকে প্রক্রিয়াগত কারণে মুক্তি দেওয়া হয়।
সিউল আদালত ইউনকে বিচারে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দেয় এবং ভূগর্ভস্থ পার্কিং লট দিয়ে প্রবেশের অধিকার কেড়ে নেওয়া হয়। যার ফলে তাকে প্রথমবারের মতো মিডিয়ার জটলা পেরিয়ে যেতে হয়েছিল।
স্যুট এবং লাল টাই পরা ইউন সাংবাদিকদের কোনও প্রশ্নের উত্তর না দিয়েই তাদের পাশ দিয়ে হেঁটে যান।
তিনি এর আগের শুনানিতে ৯০ মিনিটেরও বেশি সময় ধরে বক্তব্য দিয়েছিলেন। তিনি বিদ্রোহের কথা অস্বীকার করেছেন।
তিনি দোষী সাব্যস্ত হলে ১৯৭৯ সালের অভ্যুত্থানের সাথে জড়িত দুই সামরিক নেতার পরে ইউন হবেন বিদ্রোহের জন্য দোষী সাব্যস্ত হওয়া তৃতীয় দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট।
বিদ্রোহের অভিযোগে ইউনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড বা সর্বোচ্চ শাস্তি মৃত্যুদণ্ডে দণ্ডিত করা যেতে পারে।
তবে এই সাজা কার্যকর হওয়ার সম্ভাবনা খুবই কম। ১৯৯৭ সাল থেকে দক্ষিণ কোরিয়ায় মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করার ওপর একটি অনানুষ্ঠানিক স্থগিতাদেশ রয়েছে।
আন্যদিকে, গত মে মাসের প্রথম দিকে, প্রসিকিউটররা ইউনকে তার সামরিক আইন ঘোষণার ওপর ক্ষমতার অপব্যবহারের জন্য আটক ছাড়াই অভিযুক্ত করেছিলেন।
৬৪ বছর বয়সী ইউন ফেসবুকে লিখেছেন, ‘আগামী ৩ জুনের নির্বাচন ‘দক্ষিণ কোরিয়ার উদার গণতান্ত্রিক ব্যবস্থার জন্য জীবন-মৃত্যুর বিষয়’। ‘নাগরিকরদের, বিশেষ করে আমাদের তরুণ প্রজন্ম যারা স্বাধীনতাকে লালন করে, আমি আবারও আপনাদের আমাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনুরোধ করছি।’