শিরোনাম
ঢাকা, ৯ মে, ২০২৫ (বাসস): মার্কিন বিচার বিভাগ নিউইয়র্ক রাজ্যের অ্যাটর্নি জেনারেল লেটিশিয়া জেমসের বিরুদ্ধে বন্ধকি জালিয়াতির অভিযোগে একটি ফৌজদারি তদন্ত শুরু করেছে। লেটিশিয়া জেমস প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের অন্যতম প্রধান প্রতিপক্ষ।
গতকাল বৃহস্পতিবার সংবাদপত্রগুলোর প্রতিবেদন থেকে এই তথ্য জানা গেছে। ওয়াশিংটন থেকে এএফপি এ খবর জানায়।
ট্রাম্পের নিযুক্ত ফেডারেল হাউজিং ফাইন্যান্স এজেন্সির (এফএইচএফএ) প্রধান অভিযোগ করে বলেছেন, জেমস ভার্জিনিয়া এবং নিউইয়র্কের সম্পত্তি সম্পর্কিত ‘জাল রেকর্ড তৈরি করেছেন বলে মনে হচ্ছে। এই অভিযোগ করার পর জেমস ভার্জিনিয়ার বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু হয়।
জেমস অন্যায় কাজ অস্বীকার করেছেন। গত মাসে যখন প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছিল তখন এক বিবৃতিতে বলেছিলেন, তিনি একজন টার্গেট হতে পারেন। তিনি বলেছিলেন এই বিষয়ে আমি ভীত নই।
তদন্তের প্রতিবেদন প্রকাশকারী ‘আলবানি টাইমস-ইউনিয়ন’ এবং ‘দ্য গার্ডিয়ান’ সংবাদপত্রগুলো বলেছে, জেমসের রিয়েল এস্টেট লেনদেনের ফৌজদারি তদন্তে বিচার বিভাগ এবং এফবিআই জড়িত ছিল।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, এটিই ট্রাম্পের বিরুদ্ধে কোনো আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার ক্ষেত্রে প্রশাসনের প্রথম ফৌজদারি তদন্ত বলে মনে করা হচ্ছে।
ডেমোক্র্যাট জেমস ট্রাম্পের বিরুদ্ধে একটি দেওয়ানি জালিয়াতির মামলা পরিচালনা করার পর ট্রাম্পের ক্ষোভের শিকার হন। জালিয়াতি মামলার ফলে গত বছর রিপাবলিকানকে বিশাল জরিমানা দিতে হয়েছিল।
ঋণ এবং বীমা শর্তাবলি আরো ভালো করার জন্য ট্রাম্প তার মোট সম্পদের পরিমাণ পরিবর্তনের ষড়যন্ত্র করে জালিয়াতির অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন। ট্রাম্প এবং তার বড় ছেলেদের ৪৫ কোটি ৪০ লক্ষ মার্কিন ডলার প্রদানের নির্দেশ দেওয়া হয়েছিল।
নিউইয়র্কে বিচার চলাকালীন ট্রাম্প এবং তার মিত্ররা নিয়মিতভাবে জেমসকে আক্রমণ করতেন। গত জানুয়ারিতে হোয়াইট হাউসে ফিরে আসার পর থেকে ট্রাম্প তার শত্রুদের বিরুদ্ধে প্রতিশোধকে এজেন্ডার শীর্ষে রেখেছেন।
অন্যান্য প্রতিশোধমূলক পদক্ষেপের মধ্যে ট্রাম্পের বিরুদ্ধে ফৌজদারি মামলায় জড়িত এফবিআই এবং বিচার বিভাগের কর্মীদের বরখাস্ত করা হয়েছে।
ওয়াশিংটন পোস্টের মতে, একটি গ্র্যান্ড জুরি বন্ধকি আবেদনের সাথে সম্পর্কিত সমন জারি করেছে। জেমস বলেছিলেন, ভার্জিনিয়ার একটি বাড়ি তার প্রধান বাসস্থান হবে।
ওয়াশিংটন পোস্ট জানিয়েছে, জেমসের আইনজীবী অ্যাবে লোয়েল মার্কিন অ্যাটর্নি জেনারেল পাম বন্ডিকে লেখা এক চিঠিতে বলেছেন, তার মক্কেল আসলে তার ভাগ্নিকে সম্পত্তি কিনতে সাহায্য করছিলেন এবং নথিতে স্পষ্টভাবে বলা আছে, তিনি বাড়িতে থাকবেন না।