বাসস
  ০৮ মে ২০২৫, ২১:৪৬

দক্ষিণ আফ্রিকায় বিষক্রিয়ায় ১২০ টিরও বেশি বিপন্ন শকুনের মৃত্যু

ঢাকা, ৮ মে, ২০২৫ (বাসস) : দক্ষিণ আফ্রিকায় চোরাশিকারিদের বিষ প্রয়োগে মৃত হাতির বিষাক্ত মাংস খাওয়ার কারণে ১২০ টিরও বেশি বিপন্ন শকুনের মৃত্যুর মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে। বৃহস্পতিবার দেশটির বন্যপ্রাণী কর্মকর্তারা এ তথ্য জানিয়েছেন, এটি এধরনের সবচেয়ে বড় একক ঘটনাগুলোর অন্যতম।

জোহানেসবার্গ থেকে এএফপি জানায়, পার্ক ও বিপন্ন বন্যপ্রাণী ট্রাস্ট (ইডব্লিওটি) এক বিবৃতিতে বলেছে, এই সপ্তাহের শুরুতে ক্রুগার ন্যাশনাল পার্কে বিষক্রিয়ার শিকার আরও ৮৪টি শকুনকে চিকিৎসা ও পর্যবেক্ষণের জন্য নেওয়া হয়েছিল।

বিবৃতিতে বলা হয়, ট্র্যাজেডির মাত্রা বিস্ময়কর। ঘটনাস্থলে ১২৩টি শকুন মৃত অবস্থায় পাওয়া গেছে। মৃত শিকারি পাখির মধ্যে রয়েছে- সাদা পিঠের শকুন, কেপ শকুন ও ভাঁজ-মুখো শকুন, যেগুলো সবই বিপন্ন বা বিপন্ন প্রজাতি হিসেবে তালিকাভুক্ত।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, শিকারিরা হাতির মৃতদেহের ওপর অত্যন্ত বিষাক্ত কীটনাশক রাসায়নিক ঢেলে দেয়, যা ক্রমবর্ধমানভাবে শকুন ও সিংহের মতো প্রজাতিকে লক্ষ্য করে ব্যবহার করা হচ্ছে। এদের দেহের অংশ বিশেষ কবিরাজি-বৈদ্যালি ইত্যাদি চিকিৎসায় কথিত ‘ওষুধ’ হিসেবে চাহিদা রয়েছে।

ইডব্লিওটি’র  শিকারি পাখি প্রোগ্রাম ম্যানেজার গ্যারেথ টেট  বলেন, ২০১৯ সালের পর থেকে এটি ছিল সবচেয়ে বড় বিষক্রিয়ার ঘটনা। ওই সময় বতসোয়ানায় ৫০০ টিরও বেশি বিপন্ন শকুন শিকারিদের বিষ প্রয়োগে মৃত হাতির মাংস খেয়ে মারা গিয়েছিল।

তিনি বলেন, শিকারিরা মৃত প্রাণীর শরীরে বিষ মিশিয়ে দেয় অথবা টোপ হিসেবে ব্যবহার করার জন্য ফাঁদে ফেলে।

আমরা সিংহের অঙ্গ-প্রত্যঙ্গের জন্য শিকারের উৎপাত বৃদ্ধি পেতে দেখছি। কখনও কখনও শকুনরা তাদের ফাঁদে অসহায় শিকার হয়।

টেট বলেন, কিছু ক্ষেত্রে শিকারিরা বিদ্বেষবশত শিকারি পাখিদের ক্ষতি করে। কারণ এসব পাখি প্রকৃতির প্রহরী। তারা অন্যান্য প্রাণীদের শিকারিদের অবস্থান জানিয়ে দিতে পারে।