শিরোনাম
ঢাকা, ৮ মে, ২০২৫ (বাসস) : থাইল্যান্ড বৃহস্পতিবার জানিয়েছে, জাতিগত সশস্ত্র গোষ্ঠী সেনাবাহিনীর ওপর হামলা চালানোর পর, মিয়ানমারের ৩ শতাধিক মানুষ আশ্রয় নিতে থাইল্যান্ডে পালিয়ে গেছে। জান্তা ভূমিকম্প-পরবর্তী যুদ্ধবিরতি বাড়ানোর কয়েক দিন পর এই হামলা চালানো হয়।
ব্যাংকক থেকে এএফপি জানায়, ২০২১ সালে সামরিক বাহিনী ক্ষমতা দখলের পর থেকে, মিয়ানমার গৃহযুদ্ধে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে। মিয়ানমারের জান্তা বিভিন্ন সশস্ত্র জাতিগত সংগঠন ও গণতন্ত্রপন্থী প্রতিরোধ যোদ্ধাদের সঙ্গে লড়াই করছে।
থাই সেনাবাহিনী জানায়, বুধবার কারেন ন্যাশনাল লিবারেশন আর্মি (কেএনএলএ) ও এর মিত্র কারেন ন্যাশনাল ডিফেন্স অর্গানাইজেশন (কেএনডিও) থাই সীমান্ত থেকে প্রায় ২.৫ কিলোমিটার দূরবর্তী কাইন রাজ্যের একটি সামরিক ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়।
এক বিবৃতিতে বলা হয়, ‘এই হামলায় ঘাঁটিটি খুব কাছ থেকে ঘেরাও করা হয় এবং সারাদিন ধরে সশস্ত্র ড্রোনের মাধ্যমে ক্রমাগত বিস্ফোরক ফেলা হয়।’
কর্মকর্তারা জানান, বৃহস্পতিবারের মধ্যে ৩২৭ জন মিয়ানমারের নাগরিক থাইল্যান্ডে প্রবেশ করে এবং একটি মন্দিরসহ দুটি অস্থায়ী স্থানে আশ্রয় নেয়।
এ সময় থাই সামরিক বাহিনী ও পুলিশ সেখানে তাদেরকে নিরাপত্তা ও মানবিক সহায়তা প্রদান করে।
২৮ মার্চের ভূমিকম্পের পর ত্রাণ ও পুনরুদ্ধার প্রচেষ্টায় সহায়তা করার লক্ষ্যে মিয়ানমারের সামরিক সরকার ও এর বিরোধী বিভিন্ন সশস্ত্র গোষ্ঠী যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করে।
মান্দালয় নগরীর কাছে ৭ দশমিক ৭ মাত্রার ওই ভূমিকম্পে প্রায় ৩ হাজার ৮০০ মানুষ প্রাণ হারায় ও হাজার হাজার মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়ে।
জান্তার বিমান হামলা ও সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর হামলার ফলে বারবার যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে যায়।