শিরোনাম
ঢাকা, ৭ মে, ২০২৫ (বাসস): কমনওয়েলথ সদস্য ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষের পর বুধবার যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী কিয়ার স্টারমার ‘সংলাপ’ ও ‘উত্তেজনা প্রশমনের’ আহ্বান জানিয়েছেন।
লন্ডন থেকে এএফপি জানায়, কিয়ার স্টারমার পার্লামেন্টে বলেছেন, ‘ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনা ব্রিটেনজুড়ে অনেকের জন্য গুরুতর উদ্বেগের বিষয় হবে।’
তিনি আরও বলেন, আমরা উভয় দেশের পাশাপাশি অন্যান্য আন্তর্জাতিক অংশীদারদের সঙ্গে জরুরি ভিত্তিতে যোগাযোগ করছি এবং সংলাপ, উত্তেজনা প্রশমন ও বেসামরিক নাগরিকদের সুরক্ষায় উৎসাহিত করছি।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী ডেভিড ল্যামিও পারমাণবিক শক্তিধর দুই প্রতিবেশীর মধ্যে ‘সংযম’ বজায় রাখার আহ্বান জানিয়েছেন।
তিনি এক বিবৃতিতে বলেন, যুক্তরাজ্য সরকার ভারত ও পাকিস্তানকে সংযম প্রদর্শন এবং দ্রুত, কূটনৈতিক পথ খুঁজে বের করার জন্য সরাসরি সংলাপে অংশগ্রহণের আহ্বান জানাচ্ছে।
পাকিস্তান কমনওয়েলথের প্রতিষ্ঠাতা সদস্যদের মধ্যে একটি। ৫৬টি দেশের সমন্বয়ে গঠিত এই সংস্থাটির মধ্যে অনেকগুলোই ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল।
যুক্তরাজ্যে ভারতীয় ও পাকিস্তানি বংশোদ্ভূত বৃহৎ সম্প্রদায় বাস করছে, যাদের অনেকেরই এই অঞ্চলের সঙ্গে ঘনিষ্ঠ পারিবারিক সম্পর্ক রয়েছে।
যুক্তরাজ্যের বাণিজ্যমন্ত্রী জোনাথন রেনল্ডস বিবিসি রেডিওকে বলেন, উত্তেজনা প্রশমনে যুক্তরাজ্য ভারত ও পাকিস্তান উভয়কেই সহায়তা করতে প্রস্তুত।
তিনি বলেন, আমাদের বার্তা হলো—আমরা উভয় দেশের বন্ধু ও অংশীদার। আমরা উভয় পক্ষকে সহায়তা দিতে প্রস্তুত। উভয় দেশেরই আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা, সংলাপ ও উত্তেজনা প্রশমনে গভীর স্বার্থ জড়িত। আর আমরা সেই লক্ষ্যে যা কিছু করা সম্ভব, তা করতে প্রস্তুত রয়েছি।
যুক্তরাজ্যের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় তাদের নাগরিকদের ভারত-পাকিস্তান সীমান্তের ১০ কিলোমিটারের ভেতরে ভ্রমণ এবং কার্যত কাশ্মীর সীমান্ত হিসেবে পরিচিত লাইন অব কন্ট্রোলের ১৬ কিলোমিটারের ভেতরে ভ্রমণ করা থেকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছে। এছাড়া পাকিস্তানের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলীয় বেলুচিস্তান প্রদেশে ভ্রমণও নিরুৎসাহিত করা হয়েছে।
পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় বলেছে,আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করছি। ব্রিটিশ নাগরিকদের আমাদের ভ্রমণ পরামর্শের সঙ্গে আপডেট থাকা উচিত এবং স্থানীয় কর্তৃপক্ষের পরামর্শ অনুসরণ করা উচিত।