শিরোনাম
ঢাকা, ৭ মে, ২০২৫ (বাসস): গাজার বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থা বুধবার জানিয়েছে, ইসরাইলি বোমা হামলায় আরও অন্তত ২৬ জন ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছেন। তাদের মধ্যে ১৫ জন গাজা শহরের বাস্তুচ্যুতদের আশ্রয়দানকারী একটি স্কুলে হামলায় নিহত হয়েছেন।
বেসামরিক প্রতিরক্ষা সংস্থার মুখপাত্র মাহমুদ বাসাল এএফপিকে বলেছেন, ‘গাজা শহরের পূর্বে তুফাহ পাড়ায় অবস্থিত আল-কারামা স্কুলে ইসরাইলি দখলদার বাহিনীর বিমান হামলার পর আমাদের দল ১৫ জন শহীদ ও ১০ জন আহত ব্যক্তিকে উদ্ধার করেছে।’
তিনি বলেন, দক্ষিণাঞ্চলীয় খান ইউনিস শহরে একটি পরিবারের বাড়িতে বিমান হামলায় তিনজন নিহত এবং ১২ জন আহত হয়েছেন।
এছাড়া উত্তর গাজার জাবালিয়া শরণার্থী শিবিরের একটি বাড়িতে ইসরাইলি বিমান হামলায় তিনজন নিহত এবং আটজন আহত হয়েছেন।
খান ইউনিসে তোলা এএফপি’র ফুটেজে আহত শিশুদের হাসপাতালের বিছানায় কাঁদতে দেখা গেছে। কম্বলে ঢাকা মৃতদেহগুলো অ্যাম্বুলেন্সে করে শহরের নাসের হাসপাতালে নেওয়া হয়েছে।
ভাই হারানো আবির শেহাব বলেন, তারা ঘুমাচ্ছিলেন। তাদের ওপর বাড়িটি ভেঙে পড়ে।
তিনি বলেন, ‘আমরা ক্ষুধায় মরছি, আমরা যুদ্ধে মরছি, আমরা ভয়ে মরছি, আমরা সবকিছুতেই মরছি। পুরো বিশ্ব আমাদের মৃত্যু দেখছে।’
ইসরাইলি সামরিক বাহিনী তাৎক্ষণিকভাবে এ হামলার বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।
১৯ মাস ধরে যুদ্ধবিধ্বস্ত ফিলিস্তিনি ভূখণ্ডে সামরিক আক্রমণ সম্প্রসারণের জন্য ইসরাইল আন্তর্জাতিকভাবে নিন্দার মুখোমুখি হয়েছে। ইসরাইলের অতি-ডানপন্থী অর্থমন্ত্রী মঙ্গলবার গাজাকে ‘সম্পূর্ণ ধ্বংস’ করার আহ্বান জানিয়েছেন।
হামাস-নিয়ন্ত্রিত গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় বুধবার জানিয়েছে, ইসরাইল যুদ্ধবিরতি ভেঙে গত ১৮ মার্চ পুনরায় হামলা শুরু করার পর থেকে অন্তত ২ হাজার ৫৪৫ জন নিহত হয়েছেন। এ নিয়ে ২০২৩ সালের অক্টোবরে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে এখন পর্যন্ত ফিলিস্তিনে নিহতের সংখ্যা ৫২ হাজার ৬৫৩ জনে দাঁড়িয়েছে।
সরকারি পরিসংখ্যানের ভিত্তিতে তৈরি এএফপির হিসাব অনুযায়ী, হামাসের হামলায় ইসরাইলের ১ হাজার ২১৮ জন নিহত হয়েছেন, যাদের বেশিরভাগই বেসামরিক নাগরিক।