শিরোনাম
ঢাকা, ৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : মঙ্গলবার সুদানের যুদ্ধকালীন রাজধানী পোর্ট সুদানে বিমানবন্দর এবং একটি সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে টানা তৃতীয় দিনে সেনাবাহিনী-সমর্থিত সরকারের প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) বাহিনী ড্রোন হামলা চালিয়েছে বলে জানা গেছে। বিমানবন্দর এবং নিরাপত্তা কর্মকর্তারা এ হামলার কথা জানিয়েছেন।
পোর্ট সুদান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
একটি ড্রোন ‘পোর্ট সুদান বিমানবন্দরের বেসামরিক এলাকাকে লক্ষ্য করে হামলা চালায়। এটি দেশটির প্রধান প্রবেশপথ। বিমানবন্দরের সামরিক ঘাঁটিতে প্রথম ড্রোন হামলা চালানোর দুই দিন পর সেনাবাহিনী প্রতিদ্বন্দ্বী র্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেসকে এ হামলার জন্য দায়ী করেছে।
সেনাবাহিনীর একটি সূত্র এএফপিকে জানিয়েছে, আরেকটি ড্রোন শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত প্রধান সেনা ঘাঁটি লক্ষ্য করে হামলা চালায়। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছেন, একটি হোটেলেও হামলা চালানো হয়েছে।
সেনা ঘাঁটি এবং হোটেল উভয়ই সেনাপ্রধান আবদেল ফাত্তাহ আল-বুরহানের বাসভবনের কাছে অবস্থিত। যিনি ২০২৩ সালের এপ্রিল থেকে তার সাবেক উপসেনাপ্রধান মোহাম্মদ হামদান দাগলোর সাথে যুদ্ধে লিপ্ত ছিলেন। মোহাম্মদ হামদান দাগলোর আরএসএফের নেতৃত্ব দিচ্ছেন।
তৃতীয় ড্রোনটি ‘দক্ষিণ বন্দরের কাছে একটি জ্বালানি ডিপোতে’ আঘাত করেছে। জ্বালানি ডিপোটি ঘনবসতিপূর্ণ শহরের কেন্দ্রস্থলে অবস্থিত। এখানে জাতিসংঘ, আন্তর্জাতিক সংস্থা এবং লাখ লাখ মানুষ রাজধানী খার্তুম থেকে আশ্রয় নিয়েছে।
গত মার্চ মাসে রাজধানী খার্তুমের বেশিরভাগ এলাকাসহ অঞ্চল হারানোর পর থেকে, সেনাবাহিনী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের গভীরে আক্রমণ করে আরএসএফ ক্রমবর্ধমানভাবে ড্রোনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।
পোর্ট সুদান জুড়ে ভোরে বিস্ফোরণের শব্দ শোনা গেছে। এলাকাটি আগে একটি নিরাপদ আশ্রয়স্থল হিসাবে বিবেচিত হত।
এএফপির এক সংবাদদাতা ভোরের দিকে প্রচণ্ড বিস্ফোরণ এবং শহরের ওপর দিয়ে ধোঁয়ার কুণ্ডলীর কথা জানিয়েছেন। ধোঁয়ার কুণ্ডলী একটি বন্দরের দিক থেকে এবং আরেকটি দক্ষিণে অবস্থিত একটি জ্বালানি ডিপো থেকে আসছে বলে তিনি জানান।