শিরোনাম
ঢাকা, ৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প সোমবার জৈবিক গবেষণা ‘গেইন-অফ-ফাংশন’-এর ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপের নির্দেশ দিয়েছেন। তার প্রশাসন বলেছে, ওই গবেষণায় চীনে ল্যাব লিকিংয়ের মাধ্যমে কোভিড-১৯ মহামারি ঘটেছে।
সোমবার হোয়াইট হাউসে ট্রাম্প স্বাক্ষরিত একটি নির্বাহী আদেশ উদ্ধৃত করে ওয়াশিংটন থেকে এএফপি জানায়, যুক্তরাষ্ট্র কিছু দেশে রোগ জীবাণুর বৈশিষ্ট্য বৃদ্ধির লক্ষ্য নিয়ে তথাকথিত ‘গেইন-অফ-ফাংশন’ পরীক্ষার অর্থায়ন বন্ধ করবে।
স্বাস্থ্য মন্ত্রী রবার্ট এফ. কেনেডি জুনিয়র এক্স-এ লিখেছেন, ‘এমন কোনো ল্যাবরেটরি নেই যা লিক থেকে মুক্ত ও ভবিষ্যতে অসাবধানতাবশত লিক হওয়া এবং মানবতা বিপন্ন করা রোধ করতে পারে।’
জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের পরিচালক জয় ভট্টাচার্য বলেন, ‘কোন দেশ যারা এ ধরনের গবেষণায় জড়িত হয় তারা তাদের নিজস্ব জনসংখ্যার পাশাপাশি বিশ্বকেও বিপন্ন করে, যেমনটি আমরা কোভিড মহামারির সময় দেখেছি।’
ট্রাম্প দীর্ঘদিন ধরে যে তত্ত্বের পক্ষে কথা বলছেন সেটি হলো, উহান ইনস্টিটিউট অফ ভাইরোলজি থেকে ‘গেইন-অফ-ফাংশন’ গবেষণার ফলে ‘সার্স-সিও ভি-২’ ভাইরাসটি ছড়িয়েছে। তবে, এর বিকল্প তত্ত্বে বলা হয় ভাইরাসটি প্রাকৃতিকভাবে বন্য প্রাণী থেকে মানুষের মধ্যে একই শহরের একটি সামুদ্রিক খাবারের বাজারে ছড়িয়ে পড়েছিল।
মার্কিন সরকারের ওয়েবসাইট ‘কোভিড ডট গভ.’ ইতোপূর্বে ভ্যাকসিন প্রচার ও পরীক্ষার তথ্য প্রচারের ওপর দৃষ্টি নিবদ্ধ করেছিল। ওয়েবসাইটটি এখন ল্যাব লিককে সমর্থনের যুক্তি তুলে ধরার জন্য মরিয়া হয়ে উঠেছে।
ফেডারেল ব্যুরো অফ ইনভেস্টিগেশন, জ্বালানি বিভাগ ও সম্প্রতি, সেন্ট্রাল ইন্টেলিজেন্স এজেন্সিসহ বেশ ক’টি মার্কিন সংস্থা যারা ট্রাম্পের দ্বিতীয় মেয়াদে ভাইরাস ছড়ানো প্রসঙ্গে তাদের অবস্থান পরিবর্তন করেছিল তারা এখন ল্যাব থেকে উৎপত্তির পক্ষে ঝুঁকে পড়েছে। তবে, বেশ ক’টি গোয়েন্দা সংস্থা প্রাকৃতিকভাবে ছড়িয়ে পড়ার পক্ষে।
২০১০-এর দশকে, জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটগুলো মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র ভিত্তিক অলাভজনক ইকোহেলথ অ্যালায়েন্সের মাধ্যমে উহান ইনস্টিটিউটে বাদুড়ের করোনাভাইরাস গবেষণায় (ব্যাট করোনা ভাইরাস রিসার্চ)-এ অর্থায়ন করে। তবে ট্রাম্প তার প্রথম মেয়াদে থাকাকালীন ২০২০ সালে ওই অনুদান বাতিল করে দেন। পরে সাবেক প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের অধীনে অনুদানটি আংশিক পুনরুদ্ধার হয়।
ট্রাম্পের আদেশে চীনকে ‘উদ্বেগের দেশ’ অভিহিত করে বলা হয়, সেখানের এই ধরনের গবেষণা সমর্থন করা উচিত নয়।
ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশটি তার প্রশাসনের আমেরিকান বিজ্ঞান ও স্বাস্থ্য নীতি পুনর্গঠনের বিস্তৃত প্রচেষ্টার মধ্যে এসেছে। সরকারি বিজ্ঞানীদের ব্যাপকভাবে বরখাস্ত করা ও গবেষণা বাজেটে ব্যাপক হ্রাস সংস্কারের অন্তর্ভুক্ত রয়েছে।