বাসস
  ০৬ মে ২০২৫, ১২:৪৫

আরএসএফ’র ড্রোন হামলায় সুদানের জ্বালানি ডিপোতে আগুন: মন্ত্রণালয়

ঢাকা, ৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : সুদানের সেনাবাহিনী-সমর্থিত সরকার সোমবার জানিয়েছে, প্রতিদ্বন্দ্বী আধাসামরিক র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) বাহিনী দেশের প্রধান জ্বালানি ডিপোকে লক্ষ্য করে দুই দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ড্রোন হামলা চালিয়েছে। এই ড্রোন হামলার ফলে দেশের প্রধান জ্বালানি ডিপোতে আগুন লেগে যায়।

পোর্ট সুদান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

এএফপি সংবাদদাতারা জানিয়েছেন, আধাসামরিক বাহিনী র‌্যাপিড সাপোর্ট ফোর্সেস (আরএসএফ) কর্তৃক হামলার পর লোহিত সাগর উপকূলে অবস্থিত পোর্ট সুদানের ওপর ঘন কালো ধোঁয়া ঘণ্টার পর ঘণ্টা ধরে উড়েতে দেখা গেছে। জ্বালানি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, কর্তৃপক্ষ আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য চেষ্টা করছেন। আগুন জ্বালানি ভর্তি গুদামগুলোতে ছড়িয়ে পড়েছে এবং একই সাথে এই এলাকায় সম্ভাব্য বিপর্যয়ের বিষয়ে সতর্ক করা হয়েছে।

একটি সরকারি সূত্র সোমবার রাতে ডিপোতে একটি নতুন বিস্ফোরণের কথা জানায়। বিস্ফোরণটি আগুনের কারণে ঘটেছে বলে জানা গেছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন কর্মকর্তা এএফপিকে বলেন, আগুন ছড়িয়ে পড়ার কারণে সন্ধ্যায় একটি ট্যাঙ্কের আগুনে বিস্ফোরণ ঘটে।

তিনি আরো বলেন, সরকার সৌদি আরবকে আগুন নেভানোর জন্য একটি বিমান পাঠানোর অনুরোধ করেছে।

ঘটনাস্থলে উপস্থিত এএফপি’র একজন প্রতিবেদক বলেছেন, সন্ধ্যায় বিস্ফোরণের পর পুরো আকাশ লাল হয়ে যায়।

গত ২০২৩ সালের এপ্রিলে আধাসামরিক বাহিনী এবং সরকার সমর্থিত নিয়মিত সেনাবাহিনীর মধ্যে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর প্রথমবারের মতো পোর্ট সুদানে আরএসএফ ড্রোন হামলা চালানোর একদিন পর ড্রোন হামলায় তাৎক্ষণিকভাবে কোনও হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

গত মার্চ মাসে রাজধানী খার্তুমের বেশিরভাগ এলাকাসহ ব্যাপক অঞ্চল হারানোর পর থেকে, সেনাবাহিনী-নিয়ন্ত্রিত অঞ্চলের গভীরে আক্রমণ করে আরএসএফ ক্রমবর্ধমানভাবে ড্রোনের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়েছে।

আধাসামরিক বাহিনী পোর্ট সুদানে সাম্প্রতিক হামলা সম্পর্কে কোনও মন্তব্য করেনি।

সেনাবাহিনী-জোটবদ্ধ আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত সরকারের জ্বালানিমন্ত্রী মহিলউদ্দিন নাঈম সাঈদ সোমবারের হামলাকে বেসামরিক অবকাঠামো লক্ষ্য করে একটি ‘সন্ত্রাসী হামলা’ বলে অভিহিত করেছেন।

পোর্ট সুদানের জ্বালানি ডিপোটি দেশের উত্তর এবং পূর্বে অবস্থিত এবং সেনাবাহিনী কর্তৃক নিয়ন্ত্রিত বিশাল অঞ্চলগুলোতে পরিষেবা প্রদান করে।

সংঘাতের প্রথম দিকে, সরকার এবং জাতিসংঘের সংস্থাগুলো খার্তুম থেকে পোর্ট সুদানে স্থানান্তরিত হয়েছিল। গত রোববার পর্যন্ত সহিংসতা থেকে মুক্ত ছিল এবং পোর্ট সুদানে লাখ লাখ বাস্তুচ্যুত মানুষ আশ্রয় নিয়েছে।

যুদ্ধে হাজার হাজার মানুষ নিহত, ১ কোটি ৩০ লাখ মানুষ উচ্ছেদ হয়েছে এবং বিশ্বের বৃহত্তম ক্ষুধা ও বাস্তুচ্যুতি সংকট তৈরি হয়েছে।