শিরোনাম
ঢাকা, ৬ মে, ২০২৫ (বাসস) : পেরুর প্রেসিডেন্ট দিনা বলুয়ার্তে সোমবার উত্তরাঞ্চলীয় একটি জেলায় কারফিউ জারি এবং সোনার খনি সাময়িকভাবে বন্ধ ঘোষণা করেছেন। স্থগিত করা ওই সোনার খনির ভেতরে অপহরণের পর গত রোববার ১৩ জনকে হত্যা করা হয়।
লিমা থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
ল্যাটিন আমেরিকার অন্যতম বৃহত্তম সোনা উৎপাদনকারী পেরুর অর্থনীতির মূল চালিকাশক্তি হল খনিজ সম্পদ।
রাজধানী লিমা থেকে প্রায় ৫৬০ মাইল দূরে অবস্থিত পাটাজ, সোনার খোঁজে সৃষ্ট সহিংসতার কারণে জরুরি অবস্থা জারি করা হয়েছে।
গত রোববার সেখানে ১৩ জনের মৃতদেহ পাওয়া গেছে তারা ছিলেন খনি কোম্পানি পোডেরোসার একটি উপ-ঠিকাদারের কর্মচারী।
অভিযোগ করা হয়েছে, পেরুর উত্তরাঞ্চলীয় পাটাজ খনির এলাকায় কয়েকদিন আগে তাদের অপহরণ করা হয়েছিল। অবৈধ খনি শ্রমিকরা অপরাধীদের সঙ্গে যোগসাজশে শ্রমিকদের অপহরণ করে বলে ধারণা করা হচ্ছিল।
সোমবার পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার জন্য বোলুয়ার্তে বেশ কয়েকটি নতুন পদক্ষেপের কথা ঘোষণা করেছেন। ঘোষণার মধ্যে রয়েছে সারা রাত কারফিউ এবং পাটাজে একটি সামরিক ঘাঁটি স্থাপন।
তিনি আরো বলেন, সেনাবাহিনী পোডেরোসা পরিচালিত খনির ‘সম্পূর্ণ নিয়ন্ত্রণ’ নেবে এবং সেনা মোতায়েনের অনুমতি দেওয়ার জন্য ৩০ দিনের জন্য প্রদেশে ‘সমস্ত খনির কার্যক্রম সাময়িক ভাবে বন্ধ করবে।
লিমা স্টক এক্সচেঞ্জে তালিকাভুক্ত একটি প্রধান স্বর্ণ খনির সংস্থা পোডেরোসা সাম্প্রতিক মাসগুলোতে অবৈধ খনির সাথে যুক্ত সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর লক্ষ্যবস্তুতে পরিণত হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে প্রচারিত এক বিবৃতিতে বোলুয়ার্তে বলেন, ‘আমরা সকলেই জানি আমাদের খনি খাতে অবৈধ কার্যকলাপ প্রচুর অর্থ আয় করে, যা মাদক পাচারের চেয়ে অনেক বেশি’।
তিনি ঘোষণা করেন, ‘আমাদের এই লড়াইয়ে নেতৃত্ব দিতে হবে এবং এই যুদ্ধে জিততে হবে’।
রোববার, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা পোডেরোসায় হত্যাকাণ্ডের ঘটনা তদন্তের জন্য অপরাধ বিশেষজ্ঞদের মোতায়েন করেছেন। সতর্ক করে দিয়ে বলেছে, ‘যে কোনো পরিস্থিতিতে প্রয়োজন হলে তাদের এজেন্টরা তাদের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করতে পারবে।’
পেরুতে মারাত্মকভাবে ডাকাতি, অপরাধী চক্র কর্তৃক চাঁদাবাজি তীব্রভাবে বৃদ্ধি পেয়েছে। যার ফলে সরকার দেশের বেশ কয়েকটি এলাকায় জরুরি অবস্থা ঘোষণা করেছে।