শিরোনাম
ঢাকা, ৬ মে ২০২৫ (বাসস): কারাকাসের ভাড়া করা একটি আইন সংস্থা সোমবার অভিযোগ করেছে যে তারা মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র কর্তৃক বহিস্কৃত ২৫২ জন ভেনেজুয়েলানের মুক্তির জন্য করা আবেদনের বিষয়ে এল সালভাদোরের সুপ্রিম কোর্ট থেকে কোনও সাড়া পায়নি। সান সালভাদর থেকে এএফপি এ সংবাদ জানিয়েছেন।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মার্চ মাসে যুদ্ধকালীন আইন প্রয়োগ করে কোনো বিচার বা শুনানী ছাড়াই অভিবাসীদের এল সালভাদরে পাঠান। ট্রাম্পের অভিযোগ যে তারা ট্রেন ডি আরাগুয়া গ্যাংয়ের সদস্য। তবে, তাদের পরিবার এবং আইনজীবীরা এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন।
আইনজীবী জাইমে ওর্তেগা এল সালভাদরের প্রেসিডেন্ট নাইব বুকেলের উদ্দেশে লেখা একটি চিঠি হস্তান্তর করেন, যেখানে ২৪ মার্চ আদালতে দায়ের করা হেবিয়াস করপাস আবেদনের অগ্রগতির অভাব নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করা হয়।
তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমরা এখনও আদালত থেকে কোনো নোটিফিকেশন পাইনি।’ তার আইন সংস্থা আরও জানায়, দেশের মানবাধিকার সংস্থার ন্যায়পালের হস্তক্ষেপ চেয়ে পাঠানো আবেদনেরও কোনো উত্তর পাওয়া যায়নি।
জাইমে অর্তেগার সহকর্মী সালভাদর রিওস বলেন, বিচারে বিলম্ব হচ্ছে। হাই সিকিউরিটি কারাগারে বন্দীরা জীবিত কি না তা প্রমাণের জন্য আইনজীবীরা বুকেলের কাছে অনুরোধ করেছেন যেন তারা আটক ব্যক্তিদের সঙ্গে দেখা করতে পারেন।
ভেনেজুয়েলার অ্যাটর্নি জেনারেল বহিষ্কৃত অভিবাসীদের বন্দী করার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে অর্থ গ্রহণ করায় বুকেলে বিরুদ্ধে "মানব পাচার"-এর অভিযোগ করেছেন।
তিনি বলেন, ট্রাম্প প্রশাসন এল সালভাদরকে লক্ষ লক্ষ ডলার প্রদান করেছে, যাতে তারা অভিবাসীদের যাদের মার্কিন প্রশাসন অপরাধী ও গ্যাং সদস্য বলে দাবি করে তাদেরকে একটি সর্বোচ্চ নিরাপত্তা বিশিষ্ট কারাগারে আটকে রাখেন।
গত মাসে, বুকেলে প্রস্তাব দিয়েছিলেন যে ২৫২ জন ভেনেজুয়েলানকে তারা ভেনেজুয়েলার প্রেসিডেন্ট নিকোলাস মাদুরোর শাসনের অধীনে আটক সমান সংখ্যক রাজনৈতিক বন্দির বিনিময়ে মুক্তি দিতে পারেন। জবাবে মাদুরো বুকেলেকে ‘একজন ধারাবাহিক ও পদ্ধতিগতভাবে মানবাধিকার লঙ্ঘনকারী’ বলে অভিহিত করে ভেনেজুয়েলানদের নিঃশর্ত মুক্তি দাবি করেন।