বাসস
  ০৫ মে ২০২৫, ১২:৪১

রাশিয়া যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে ‘আমি বিশ্বাস করি না’: জেলেনস্কি

ঢাকা, ৫ মে, ২০২৫ (বাসস) : ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি রোববার বলেছেন, তিনি ‘বিশ্বাস করেন না’ রাশিয়া আগামী ৯ মে মস্কোর বিজয় দিবস উদযাপনের জন্য তিন দিনের যুদ্ধবিরতি মেনে চলবে।

প্রাগ থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।

সম্প্রতি রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ইউরোপে দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সমাপ্তির বার্ষিকী উপলক্ষে তিন দিনের যুদ্ধবিরতির ঘোষণা দেন। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে নাৎসি জার্মানির বিরুদ্ধে সোভিয়েত ইউনিয়নের বিজয়ের ৮০তম বার্ষিকী উপলক্ষে এই যুদ্ধবিরতি ঘোষণা করা হয়। 

জেলেনস্কি বলেন, এ ধরনের পদক্ষেপ অর্থহীন। তিনি গত মার্চ মাসে দেওয়া যুক্তরাষ্ট্রের প্রস্তাব অনুযায়ী অন্তত ৩০ দিনের নিঃশর্ত যুদ্ধবিরতির আহ্বান জানিয়েছেন।

চেক প্রজাতন্ত্রের প্রেসিডেন্ট পেতর পাভেলের সঙ্গে যৌথ সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি বলেন, চাপ না বাড়ানো পর্যন্ত রাশিয়ার প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন সংঘাত শেষ করতে কোনো বাস্তব পদক্ষেপ নেবেন না। ‘এটি প্রথম চ্যালেঞ্জ নয়, এমনকি যুদ্ধবিরতির জন্য রাশিয়ার দেওয়া এটিই প্রথম প্রতিশ্রুতিও নয়’। 

ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেছেন, রাশিয়ার সঙ্গে যেকোনো মুহূর্তে যুদ্ধবিরতি সম্ভব। তবে যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়নে মস্কোর ওপর চাপ বাড়াতে মিত্রদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তিনি। স্থানীয় সময় রোববার চেক প্রজাতন্ত্রের রাজধানী প্রাগে এক সংবাদ সম্মেলনে জেলেনস্কি এ আহ্বান জানান।

জেলেনস্কি আরো বলেন, ‘আমরা বুঝতে পারি আমরা কাদের সাথে কাজ করছি, আমরা তাদের বিশ্বাস করি না। রোববার তার পত্নীকে সাথে নিয়ে দুই দিনের সফরে প্রাগে এসেছেন জেলেনস্কি।

জেলেনস্কি বলেন, আজ এবং এত দিন ধরে তারা আংশিক যুদ্ধবিরতি চাওয়ার কথা বলছে, তবে আপনাদের জানা উচিত সাম্প্রতিক মাসগুলোতে আক্রমণের সংখ্যা সর্বোচ্চ।

একটি সামরিক প্রতিবেদনের উদ্ধৃতি দিয়ে তিনি বলেন, শনিবার ২শ’ টিরও বেশি আক্রমণ চালিয়েছে রাশিয়া।

‘তাই (তাদের ওপর) কোন বিশ্বাস নেই,’ জেলেনস্কি বলেন। রোববার পরে এক বিবৃতিতে বলেন, জেলেনস্কি পাভেলের সাথে তার বৈঠকের সারসংক্ষেপ তুলে ধরেন। 

জেলেনস্কি আরো বলেন, সোমবার ‘চেক প্রতিরক্ষা সংস্থাগুলোর’ সাথে আমাদের একটি বৈঠক হবে, যার বিস্তারিত পরে ঘোষণা করা হবে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন এবং ন্যাটোর সদস্য চেক প্রজাতন্ত্র, ২০২২ সালের ফেব্রুয়ারিতে রাশিয়ার আক্রমণ শুরু হওয়ার পর থেকে ইউক্রেনকে যথেষ্ট মানবিক ও সামরিক সহায়তা প্রদান করেছে।

দেশটি ৫ লাখেরও বেশি যুদ্ধ শরণার্থীকে আশ্রয় দিয়েছে এবং ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীকে ট্যাঙ্ক, সাঁজোয়া যান এবং হেলিকপ্টারসহ সরঞ্জাম সরবরাহ করেছে।