শিরোনাম
ঢাকা, ৫ মে, ২০২৫ (বাসস) : প্যারিসে অপহৃত এক ব্যক্তিকে ঝটিকা অভিযান চালিয়ে উদ্ধার করেছে ফ্রান্সের পুলিশ। এ ঘটনায় এ পর্যন্ত সাতজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
ভুক্তভোগীর ছেলে ক্রিপ্টোকারেন্সির বড় ব্যবসায়ী। তার কাছ থেকে মুক্তিপণ আদায় করতেই এ কাজ করেন অপহরণকারিরা। এসব তথ্য জানিয়েছেন ফরাসি প্রসিকিউটররা।
তবে, অপহরণের শিকার ব্যক্তির নাম প্রকাশ করা হয়নি। গত শনিবার রাতে প্যারিসের দক্ষিণে এসোন এলাকায় অভিযান চালিয়ে ভুক্তভোগীক উদ্ধার করে পুলিশ। এর আগে গত বৃহস্পতিবার সকালে ১৪তম অ্যারোন্ডিসমেন্ট এলাকা থেকে অপহৃত হন তিনি।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন পুলিশ কর্মকর্তা এএফপিকে জানান, মাস্ক পরা চার ব্যক্তি তাকে প্রকাশ্যে একটি ডেলিভারি ভ্যানে তুলে নিয়ে যায়। পুলিশের সাইবার অপরাধ দমন ইউনিটের সহায়তায় অ্যান্টি-গ্যাং গোয়েন্দারা গ্রেপ্তারদের বিষয়ে তদন্ত করছেন।
প্রসিকিউটরের কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, “অপহৃত ব্যক্তির ছেলে ক্রিপ্টোকারেন্সি থেকে বিপুল অর্থ উপার্জন করেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। একারণেই মোটা অংকের মুক্তিপণ লাভের আশা করেছিলো অহরণকারীরা।” তবে মুক্তিপণের পরিমাণ সম্পর্কে বিবৃতিতে কিছুৃই জানানো হয়নি।
ফরাসি দৈনিক লো প্যারিসিয়ে-র এক প্রতিবেদনে বলা হয়, অপহরণকারীরা ৫০ থেকে ৭০ লক্ষ ইউরো (প্রায় ৫৭ লাখ থেকে ৭৯ লাখ মার্কিন ডলার) দাবি করেছিল। তবে তাদেরকে কোনো অর্থ পরিশোধ করা হয়নি। এদিকে, তদন্তসংশ্লিষ্ট একটি সূত্র জানায়, “অপহৃত ব্যক্তির একটি আঙুল কেটে নেওয়া হয়েছে। সময়মত পুলিশ অভিযান না চালালে, আরও অঙ্গচ্ছেদের আশঙ্কা ছিল।”
ফ্রান্সের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী ব্রুনো রেটাইলো পুলিশি অভিযানে সন্তুষ্টি প্রকাশ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম এক্সে দেওয়া বার্তায় উদ্ধার অভিযানটিকে যথোপযুক্ত পদক্ষেপ হিসেবেও উল্লেখ করেন।
তদন্তকারীদের ভুক্তভোগীর স্ত্রী জানান, তার স্বামী ও ছেলে দুজনেই মাল্টাভিত্তিক একটি ক্রিপ্টো মার্কেটিং প্রতিষ্ঠানের মালিক। এর আগেও তারা নানা হুমকির শিকার হয়েছেন।
এর আগে ২১ জানুয়ারি সঙ্গীসহ অপহরণ করা হয় ক্রিপ্টো উদ্যোক্তা ডেভিড বালান্ডকে। লেডগার নামে ১ বিলিয়নেরও বেশি ডলারের ক্রিপ্টো কোম্পানির সহ-প্রতিষ্ঠাতা তিনি। তারও আঙুল কেটে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছিল। পরদিন মুক্তি পান বালান্ড। আর তার সঙ্গীকে এসোন এলাকার একটি গাড়ির ডিকি থেকে উদ্ধার করা হয়। ওই মামলায় এখন পর্যন্ত কারও বিরুদ্ধে আনুষ্ঠানিক অভিযোগ আনা হয়নি। যদিও সন্দেহভাজন মূলহোতার বিরুদ্ধে আগেও অপহরণের মামলা হয়েছে।
তারও আগে, জানুয়ারির শুরুতে মানস শহরের কাছে একটি গাড়ির ডিকি থেকে ৫৬ বছর বয়সী এক ব্যক্তিকে উদ্ধার করা হয়। তখন গণমাধ্যমের প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই ব্যক্তি দুবাইভিত্তিক এক ক্রিপ্টো ইনফ্লুয়েন্সারের বাবা।