শিরোনাম
ঢাকা, ৫ মে, ২০২৫ (বাসস) : পশ্চিমাদের সাথে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার সময়ে ইরান রোববার ১২০০ কিলোমিটার পাল্লার সর্বশেষ নতুন ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কাসেম বাসির উন্মোচন করেছে। ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন এ তথ্য জানিয়েছে।
তেহরান থেকে বার্তা সংস্থা এএফপি এ খবর জানায়।
রাষ্ট্রীয় টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, কঠিন জ্বালানি চালিত কাসেম বাসির ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের পাল্লা কমপক্ষে ১,২০০ কিলোমিটার এবং এটি ইরানের সর্বশেষ প্রতিরক্ষা অর্জন বলে জানা গেছে।
এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো ইরানের ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্র কর্মসূচি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। তারা ইরানের বিরুদ্ধে মধ্যপ্রাচ্যে স্থিতিশীলতা বিঘ্নিত করার অভিযোগ করে আসছে।
ইরান ইয়েমেনের হুথি বিদ্রোহী, লেবাননের হিজবুল্লাহ, গাজা উপত্যকায় হামাস এবং ইরাকের শিয়া গোষ্ঠীসহ ইসরাইল বিরোধী গোষ্ঠীগুলোকে সমর্থন করে আসছে।
গত বছরের অক্টোবরে, ইরান এবং তার পরম শত্রু ইসরাইল প্রথমবারের মতো একে অপরের ওপর সরাসরি আক্রমণ করে।
গত ১ অক্টোবর ইরানের ক্ষেপণাস্ত্র হামলার জবাবে ইসরাইল ইরানের সামরিক স্থাপনাগুলোতে হামলা চালায়। ইরান-সমর্থিত নেতা এবং একজন বিপ্লবী গার্ড কমান্ডারকে হত্যার প্রতিশোধ হিসেবে এই হামলা চালানো হয়েছিল।
রোববার, ইরানের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন প্রতিরক্ষামন্ত্রী আজিজ নাসিরজাদেহের সাথে এক সাক্ষাৎকারের সময় নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটির ফুটেজ সম্প্রচার করে।
নাসিরজাদেহ সতর্ক করে বলেন, ‘যদি আমাদের ওপর যুদ্ধ চাপিয়ে দেওয়া হয়, তবে আমরা শক্ত হাতে জবাব দেব।’ তিনি আরো জানান, ইরান কোনো প্রতিবেশী দেশের সঙ্গে সংঘাতে যেতে চায় না, তবে তাদের মাটিতে থাকা মার্কিন ঘাঁটিগুলো হামলার লক্ষ্যবস্তু হবে।
গত ১২ এপ্রিল থেকে টানা তিন শনিবার ইরানের পারমাণবিক কর্মসূচি নিয়ে ওমানের মধ্যস্থতায় তেহরান ও ওয়াশিংটনের মধ্যে আলোচনার পর নতুন ক্ষেপণাস্ত্রটি উন্মোচন করল ইরান।
বৃহস্পতিবার, মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ফক্স নিউজকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ইরানকে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ থেকে ‘দূরে সরে যাওয়ার’ আহ্বান জানিয়ে বলেন, ‘বিশ্বে একমাত্র যেসব দেশ ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করে, তাদেরই পারমাণবিক অস্ত্র আছে।’
গত ২৭ এপ্রিল, ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু বলেছিলেন, একটি বিশ্বাসযোগ্য চুক্তির মাধ্যমে ‘পারমাণবিক অস্ত্রের জন্য ইরানের ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধ করার ক্ষমতা অপসারণ করতে হবে’ এবং ব্যালিস্টিক ক্ষেপণাস্ত্রের উন্নয়ন রোধ করতে হবে।
তেহরান পারমাণবিক অস্ত্র অর্জনের চেষ্টা অস্বীকার করে বলেছে, তার পারমাণবিক উচ্চাকাঙ্ক্ষা সম্পূর্ণ শান্তিপূর্ণ এবং বেসামরিক উদ্দেশ্যে।
কূটনীতি ব্যর্থ হলে ইরানের ওপর হামলা চালানোর হুমকি দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প এবং দেশটির তেল খাতকে লক্ষ্য করে অতিরিক্ত নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছেন।