শিরোনাম
ঢাকা, ৩ মে, ২০২৫ (বাসস) : ব্রাজিলে অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন থেকে অর্থ জালিয়াতির অভিযোগে তৈরি কেলেঙ্কারির জেরে দেশটির সামাজিক নিরাপত্তামন্ত্রী কার্লোস লুপি শুক্রবার পদত্যাগ করেছেন।
ব্রাসিলিয়া থেকে এএফপি জানায়, তাকে ঘিরেই মূলত এ বিতর্কের সূত্রপাত। বিভিন্ন শ্রমিক সংগঠন ও অন্যান্য সংস্থার বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা অবসরপ্রাপ্তদের পেনশন থেকে একটি অংশ কেটে রাখছিল, যেখানে জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা ইনস্টিটিউটের (আইএনএসএস) কিছু কর্মকর্তার সহায়তা থাকারও আশঙ্কা করা হচ্ছে।
গত সপ্তাহেই এ অভিযোগে আইএনএসএস-এর প্রধানকে দায়িত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
পুলিশের একজন কর্মকর্তা এবং আইএনএসএস-এর আরও চারজন কর্মকর্তাকেও বরখাস্ত করা হয়েছে।
রাষ্ট্রীয় দুর্নীতিবিরোধী সংস্থা হিসেবেই কাজ করা কন্ট্রোলার জেনারেল অফিস জানিয়েছে, পেনশনের অর্থ থেকে অবসরপ্রাপ্তদের অজান্তেই বিভিন্ন সেবার (যেমন—আইনি সহায়তা) নামে অর্থ কেটে রাখা হচ্ছিল। এই সেবাগুলো অধিকাংশ অবসরপ্রাপ্ত ব্যক্তি কখনোই গ্রহণ করেননি বা তার জন্য সম্মতি দেননি।
২০১৯ থেকে ২০২৪ সালের মধ্যে পেনশন থেকে মোট ৬৩ বিলিয়ন রিয়াল (প্রায় ১.১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার) কাটা হয়েছে। এর কতটুকু অবৈধভাবে কাটা হয়েছে, তা এখনও নিশ্চিত নয়।
এই নিয়ে এক মাসের মধ্যে ব্রাজিলের বামপন্থী প্রেসিডেন্ট লুইজ ইনাসিও লুলা দা সিলভার মন্ত্রিসভা থেকে দ্বিতীয়বারের মতো কোনো মন্ত্রী দুর্নীতির অভিযোগে পদত্যাগ করলেন।
এর আগে এপ্রিলের শুরুতে যোগাযোগমন্ত্রী জুসেলিনো ফিলহো পদত্যাগ করেন। তিনি ২০২২ সালে কংগ্রেস সদস্য থাকাকালে ঘুষ গ্রহণের অভিযোগে অভিযুক্ত হন।
দুর্নীতি লুলা সরকারের জন্য অত্যন্ত স্পর্শকাতর একটি ইস্যু। ২০১৮ থেকে ২০১৯ সালের মধ্যে তিনিও ঘুষ নেওয়ার অভিযোগে দেড় বছর কারাগারে ছিলেন।
পরে আদালত রায় দেন যে, তার বিচার পরিচালনাকারী বিচারক পক্ষপাতদুষ্ট ছিলেন। এই রায়ের ভিত্তিতেই তিনি ২০২২ সালে আবারও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে অংশ নিতে পারেন এবং জয় পান।
তবে, দুর্নীতির সেই পুরোনো গন্ধ এখনও অনেক ব্রাজিলিয়ানের কাছে তাঁকে অগ্রহণযোগ্য করে রেখেছে।